Recipe: ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য চটজলদি বানিয়ে ফেলুন নিরামিষ মৌরি পটল, রেসিপি শিখে নিন
ভাত, রুটি, লুচি, পরোটার সঙ্গে নিরামিষ কি রান্না করবেন অনেকেই ভেবে পান না, তাই আর দেরি না করে আমাদের পাতায় দেখে ফেলুন পটলের একটি রেসিপি। পটল খাওয়া ভীষণ উপকারী। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা প্রথম খেতে পারেন, এছাড়া পটল পেট ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে, যে সমস্ত বাচ্চারা কোন রকম সবজি খেতে চান না, তারা কিন্তু পটল খেতে পারেন। আর এই ভাবে পটল রান্না করে শুধুমাত্র বাড়ির মানুষগুলোকেই চমকে দেওয়া নয়, বাইরে থেকে যদি কোন অতিথি আসে তাদেরকেও যদি চমকাতে চান, দুর্গাপূজার সময় বাইরে থেকে অনেক অতিথির আগমন হয়, বিশেষ করে দুর্গাপূজার ষষ্ঠী, অষ্টমীতে যারা নিরামিষ আহার করেন, লুচির সঙ্গে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই অসাধারণ রেসিপি। তাহলে চটজলদি করে ফেলুন অসাধারণ মৌরি পটল।
উপকরণ –
ছোট পটল দশটি
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
এক টেবিল চামচ মৌরি বাটা
৩ টেবিল চামচ আদা বাটা
২ টেবিল-চামচ টমেটো বাটা
২ টেবিল চামচ মৌরি বাটা
টক দই ১ কাপ
আলু টুকরো করে কাটা
ধনেপাতা কুচি এক মুঠো
হলুদ গুঁড়া এক টেবিল-চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো স্বাদমতো কুচি করা
কাঁচালঙ্কা স্বাদমতো
সরষের তেল ১ কাপ
শুকনো লঙ্কা
তেজপাতা
কিশমিশ বাটা তিন টেবিল চামচ
গোটা কিশমিশ প্রয়োজনমতো
প্রণালী – কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে প্রথমে পটল গুলো কিছুটা ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে মৌরি, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতার ফোড়ন দিতে হবে। তারপর একে একে আদাবাটা, টমেটো বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিতে হবে। এরপর আলু গুলি ভালো করে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে টক দই দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে দিতে হবে। মৌরি বাটা দিয়ে ভেজে রাখা পটল দিয়ে সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে, ঢাকা খুলে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা কুচি এবং কিশমিশ বাটা, গোটা কিশমিশ দিয়ে বেশ খানিকটা স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন মৌরি পটল।