বাংলা ও হিন্দির প্লে ব্যাক সিঙ্গার শ্রেয়া ঘোষাল। গর্ভবতী তিনি। একটু বেশি বয়সেই মা হচ্ছেন তিনি। মনে আনন্দ থাকলেও এক বুক ভয় নিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন তিনি। যখন কোনো মেয়ে প্রথমবার মা হন তখন তাঁর মনে নানান প্রশ্ন, আশঙ্কা ও উদ্বেগ থাকে সাধারণ ভাবে। হরমোন লেভেল পরিবর্তন হয়, ফলে ভেতরের চাপা উদ্বেগ বেরিয়ে আসতে চায়। বিশেষ করে বর্তমান কঠিন সময়ে একজন অন্তঃসত্ত্বা যে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন তা বোঝাও মুশকিল।
গায়িকা শ্রেয়া এই বছরেই মা হবেন। কিছুদিন আগেই তার বেবি সাওয়ার অর্থাৎ সাধের অনুষ্ঠান হল, এবার তিনি দিন গুনছেন নতুন অতিথির আগমনের জন্য, কিন্তু পৃথিবী নিজেই যে অসুস্থ। মানুষ যেই জিনিস তৈরি করতে পারে না আজ তার জন্যেই একের পর এক মানুষ অসহায় ভাবে কাতরাতে কাতরাতে মারা যাচ্ছে। করোনা্র দ্বিতীয় জোয়ারে মানুষের মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। বিভিন্ন হাসপাতালের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এরকম চরম সংকটের দিনে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দু চার কলম লিখলেন শ্রেয়া ঘোষাল। কী লিখলেন তিনি?
View this post on Instagram
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে শ্রেয়া চেয়েছেন শক্তি। এই লড়াইয়ে লড়বার জন্য শক্তি চেয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেছেন বিনা প্রয়োজনে কেউ কারোর সংস্পর্শে আসা বন্ধ করুন। এবং সঠিক মাস্ক পড়তে বলেছেন। বিশেষত N95 মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন। এবং শেষে এও বলেছেন যে আমাদের একটা ভুলের জন্য আমাদের অনেক বড় খেসারত দিতে হতে পারে।
এদিকে, করনো সতর্কতায় একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করল মহারাষ্ট্র, জারি পয়লা মে পর্যন্ত। ভাইরাসের চেন ব্রেক করতে, সরকারি ও বেসরকারি অফিস যারা সরাসরি করোনা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত নয়, সেখানে উপস্থিতি ১৫ শতাংশে বাঁধতে বলা হয়েছে।৫০ শতাংশের বেশি লোক অফিসে আনা যাবে না। কোনও বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে লোকসংখ্যা সর্বাধিক হতে পারে ২৫ জন। একটি হলে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার মধ্যে এই সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। এবং জরুরি কারণ ছাড়া এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বা অন্য শহরে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ।