ওজন কমাতে রুটি খাচ্ছেন? বড় ভুল করার আগে বিস্তারিত জানুন
ওজন কমাতে অনেকে ডায়েট করেন। এমনকি উপোস করেও ডায়েট করেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম পরিমাণে খেলেও সবসময় কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। পেট খালি রাখা উচিত নয়। অনেকেই মনে করেন, ভাত খেলেই নাকি চড়চড়িয়ে বাড়ে ওজন। তাই ভাতের বদলে অনেকেই ভরসা রাখেন রুটিতে (Roti)। দুপুর হোক বা রাত, রুটি খেয়েই পেট ভরান অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরা। ভাতের উৎকৃষ্ট বিকল্প রুটি, যা মানব শরীরে কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) এর চাহিদা পূরণ করে।
বাড়িতে বানানো আটার রুটির গুণাগুণ অনেক। ওজন কমাতে চাইলে ভাতের বদলে রুটির উপরে ভরসা করতেই পারেন। রুটিতে যে শুধু প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটই আছে তা নয়, প্রোটিন, ফাইবার এবং মিনারেলস এরও উৎস রুটি। আটার রুটিতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ সবথেকে বেশি, প্রায় ১৫ গ্রাম। অন্য দিকে প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে যথাক্রমে ৩ এবং ০.৪ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ এচষত বেশি হওয়ায় বুঝে শুনে খাওয়া উচিত রুটি। অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
মূলত ওজন কমাতে চেয়ে অনেকেই সারা দিনের ডায়েটে যোগ করেন রুটি সেক্ষেত্রে ওজন কমার হার নির্ভর করবে দিনে কখন রুটি খাওয়া হচ্ছে এবং কতগুলি খাওয়া হচ্ছে! স্বাস্থ্য সচেতনরা দিনে ২৫০ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট এর গ্রহণ করেন না। সেক্ষেত্রে রুটি খাওয়া চালু করতেই পারেন, তবে পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।
যত বেশি রুটি খাওয়া হবে, শরীরে তত বেশি কার্বোহাইড্রেট প্রবেশ করবে। তাই পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, সকালের খাবারে রুটি রাখতে। তখন দু তিনটি রুটি খেলেও কার্বোহাইড্রেট হজম হয়ে যাবে। দুপুরে রুটি খেলে দুটির বেশি না খাওয়ারই পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আর বিকেল চারটের পরে আর কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ না করাই উচিত বলে মত পুষ্টিবিদদের।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।