Sleeping Habit: ভুলেও এই ৩ দিকে মাথা দিয়ে ঘুমাবেন না, এর প্রভাবে মস্তিস্ক দুর্বল হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়
সব মানুষের বিশ্বাসের স্তর এক হয়না। ব্যক্তিবিশেষে এই বিশ্বাসের স্থানগুলিও আলাদা হয়। আর এই কারণেই ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের মানুষজন এখনও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর। এই বিশ্বের প্রাচীন শাস্ত্র ও গণনা পদ্ধতির একটি। মূলত গ্রহ ও নক্ষত্রের অবস্থানের সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের বিশেষ কিছু গুনাবলীর মেলবন্ধন ঘটিয়ে জ্যোতিষীরা আমাদের অতীত ও ভবিষ্যতের একটি রূপরেখা তৈরি করে থাকেন। আর এই কারণে অনেকেই এই জ্যোতিষশাস্ত্রের বিচারে প্রবলভাবে বিশ্বাস রাখেন।
জ্যোতিষশাস্ত্রের একাধিক বিচার্য বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কোষ্ঠী বিচার ও হস্তরেখা বিচার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়াও প্রাচীন এই শাস্ত্রে আমাদের রোজকার জীবনে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়ের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে এই শাস্ত্রে আমাদের প্রতিদিনের নানা অভ্যাসের আমাদের জীবনের উপর প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। তাই আমাদের ঘুমানোর অভ্যাস নিয়েও এই শাস্ত্রে রয়েছে কয়েকটি নিয়ম। এখন একনজরে দেখে নিন কোন দিকে মাথা করে ঘুমানোর প্রভাব কিরকম হতে পারে।
● উত্তর দিক: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, উত্তর দিকে মাথা করে ঘুমানো এক্কাবারে উচিত নয়। এর পিছনে একটি বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। যেহেতু, উত্তর দিক হল মাধ্যাকর্ষনের দিক, তাই এই দিকে মাথা রেখে ঘুমালে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও এর ফলে মস্তিস্ক দুর্বল হয় এবিং দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই, দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
● দক্ষিণ দিক: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ফোকহীন দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো উচিত নয়। এর প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনের উপর। কারণ এমনটা করলে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ বৃদ্ধি পায়।
● পশ্চিম দিক: একইভাবে পশ্চিম ফিকে মাথা ফিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তাও পরিবর্তন করা উচিত। কারণ এর প্রভাবে অর্থাভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকাংশে।
● পূর্ব দিক: তবে ঘুমানোর জন্য সঠিক দিক হল পূর্বদিক। এই দিকে মাথা দিয়ে ঘুমালে জীবনে সাফল্য আসে। একইভাবে ব্যক্তিত্বের মধ্যে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পায় এর প্রভাবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনে এসবের প্রভাব ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে।