৯ বছরের মধ্যেই কলকাতার বুকে সমস্ত ইলেকট্রিক গাড়ি চলবে, জানালেন ফিরহাদ হাকিম
মাত্র ৯ বছরের অপেক্ষা ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতার রাস্তায় চলবে ইলেকট্রিক গাড়ি এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে শুধুমাত্র যানবাহন হিসেবে রাস্তায় এই বৈদ্যুতিক গাড়ি বার করলেই তো হবে না, এর জন্য প্রয়োজন বৈদ্যুতিক গাড়ি গুলি চার্জিং এর উপযুক্ত স্টেশনের উপযুক্ত পরিকাঠামোর। তাতে সামান্য সময় লাগবে এবং একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে আসে রাজ্য সরকার।
পরিবেশের দূষণ কমাতে এবং জ্বালানির আমদানি খরচ খানিকটা কমাতেই এমন লক্ষ্যের কথা কিছু বছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানালেও তবে তা খুব একটা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে ২০৩০ সালের পরে সমস্ত পেট্রোল, ডিজেল চালিত গাড়ি একেবারে সারা জীবনের জন্য বাতিল করে দেওয়া হবে এমনটা নয়। তবে বর্তমানে জ্বালানির যেভাবে ঘাটতি শুরু হয়ে গেছে, এই রকম পরিস্থিতিতে বিকল্প জ্বালানির গাড়ি ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে রয়েছে সরকার।
বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারে অনলাইন সভায় পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ১০০০ টি বৈদ্যুতিক বাস চলবে। আপাতত ডিজেল থেকে সিএনজি জ্বালানিতে বদল করা হচ্ছে প্রায় ৩০০ টি সরকারি বাসকে। ৯ বছরের মধ্যেই বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি গাড়ি একমাত্র কলকাতার বুকে চলবে যা কোনভাবেই দূষণ ছড়ায় না। তবে এই সময় পেট্রোল-ডিজেলের গাড়ি কি পুরোপুরি বাতিল করা হবে? এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
বিশেষত অত্যধিক দাম এবং চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো ঠিকঠাকভাবে না থাকার জন্য ছাড়া ভারতবর্ষজুড়ে এখনো বৈদ্যুতিক গাড়ি সেই ভাবে ব্যবহার করা হয় না। তবে বিদ্যুৎচালিত দুই চাকার ব্যবহার এখন প্রায়ই দেখা যায়, বিশেষত বাড়ির মহিলারা এই বিদ্যুৎ চালিত দু চাকা ব্যবহার করতে বেশ স্বচ্ছন্দ বিশেষত পেট্রোল পাম্পে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তেল নেওয়ার কোনো ঝামেলা থাকে না বাড়িতেই চার্জ দিয়ে নেওয়া যায়।