আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হতে চলেছে এক ভয়ানক পরিস্থিতি। অনেক সময় ধরে গবেষণা করার পর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, আগামী কয়েক বছরে আন্টার্টিকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আন্টার্কটিকার স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রিরও কম। সেখানে তাপমাত্রার এই ব্যাপক বৃদ্ধি চিন্তায় ফেলছে আবহাওয়াবিদদের।
একটি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত মিটতে না মিটতেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। কেন বারবার এরকম দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে? কেনই বা এত দ্রুতই ঘটছে আবহাওয়ার পরিবর্তন? বিজ্ঞানীরা জানান ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে। আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে। পৃথিবীর দুই মেরুর বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে। মেরু অঞ্চলের যদি তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর।
বিশ্বজুড়ে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ত্রাস ছড়াচ্ছে তা স্পষ্ট জানান পেনসিলভেনিয়ার এক ইউনিভার্সিটির গবেষক মাইকেল মান। ভবিষ্যতে পৃথিবীর তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বাড়বে। এর ফলে মানবসমাজ সংকটের মুখে এসে দাঁড়াবে।
এই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে খুব শীঘ্রই পৃথিবীর তাপমাত্রা যে ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে তার স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানী মহল। এর ফলে যে অন্যতম প্রধান কারণ বর্তমানে মানবসমাজের অত্যাধুনিক যান্ত্রিক এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই পরিবর্তন যে একদিনের ফলশ্রুতি নয় তাও জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। বৈজ্ঞানিকগন এবং পরিবেশ সচেতন যথেষ্ট চিন্তিত এই বিষয়টি নিয়ে।তাঁদের মতে এখনই আমাদের সাবধান হওয়ার সময় চলে এসেছে। একটু একটু করে আমরা পৃথিবীতে যে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছি তার থেকে মুক্তি দিতে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের আরও সচেতন হতে হবে। পরিবেশ বান্ধব জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সমস্ত পৃথিবী উপহার দেওয়ার জন্য নিজেদের বিলাসবহুল জীবনে কাটছাঁট আনতে হবে। কিন্তু যে ক্ষত তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর বুকে তাকে এত সহজে নিরাময় করা সম্ভব হবে।