Ration System: রেশন ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আনছে সরকার, উপকৃত হবেন ৯ লক্ষ গ্রাহক
স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।
দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের। তবে এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয় বরাদ্দকৃত রেশনের পরিমাণ। যেমন বিপিএল বা অন্নপূর্ণা যোজনার অধীনে যেসব নাগরিকরা থাকেন, তারা এপিএল কার্ড হোল্ডারদের তুলনায় কম রেশন পেয়ে থাকেন। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ রেশন সামগ্রী পাওয়া সব নাগরিকদের অধিকার।
তবে গত কয়েকমাসে রেশন দুর্নীতির খোলস খুলেছে রাজ্যে। দীর্ঘদিন ধকরে যে রেশন দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে, তা স্পষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তার ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। তবে এই বাকিবুর রহমানের মিল থেকে যেসব রেশন সামগ্রী আসতো, তাতে কারচুপিও ধরা পড়েছে। তবে এবার এই দুর্নীতিতে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। নেওয়া হয়েছে এক নতুন পদক্ষেপ। আর এর ফলে রাজ্যের ৯ লক্ষ রেশন গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সমস্ত রেশন উপভোক্তা যাতে সঠিক পরিমানে রেশন সামগ্রী পান, তার দিকে খেয়াল রাখতে এবার রাজ্যের সমস্ত দোকানে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই ধরণের যন্ত্র। আর তার ফলে সমস্ত গ্রাহক তাদের প্রাপ্য সামগ্রী সঠিক পরিমানে পেয়ে যাবেন বলে আশা রাজ্য সরকারের।