GossipHoop Plus

Swastika Mukherjee: একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্বস্তিকা, জড়িয়ে রয়েছে নানান কেচ্ছা

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) টলিউডের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেত্রী। দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি স্বস্তিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিতর্ক কম নয়। মাত্র আঠারো বছর বয়সে পারিবারিক বন্ধু ও সঙ্গীতশিল্পী সাগর সেন (Sagar Sen)-এর পুত্র প্রমিত সেন (Pramit Sen)-এর সাথে স্বস্তিকার বিয়ে দেন তাঁর বাবা অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় (Santu Mukherjee)। জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তান অন্বেষা (Anwesha)-র। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা স্বস্তিকার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। ফলে অন্বেষাকে নিয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে। বহু সমস্যার পর একসময় প্রমিতের সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

তবে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে কেরিয়ারে মন দিয়েছিলেন স্বস্তিকা। সেই সময় জিৎ (Jeet)-এর সাথে তৈরি হয়েছিল তাঁর অফস্ক্রিন সম্পর্ক। শোনা যাচ্ছিল, তাঁদের বিয়ের কথাও। কিন্তু অচিরেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর বাংলা ফিল্ম ‘ব্রেক ফেল’-এ অভিনয় করতে গিয়ে স্বস্তিকার সাথে তৈরি হয় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay)-এর সম্পর্ক। স্বস্তিকার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও বিতর্কিত সম্পর্ক ছিল এটি। পরমব্রতর সাথে স্বস্তিকার সম্পর্কের জেরে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছিলেন অভিনেতা। কারণ পরমব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্বস্তিকার প্রাক্তন স্বামী প্রমিত। তখনও স্বস্তিকার সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। পরমব্রত নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্ত হন আইনি জটিলতা থেকে। তবে এরপরেও তাঁদের সম্পর্কে ইতি ঘটেনি। ইতিমধ্যেই পরমব্রত ফিল্মমেকিং নিয়ে পড়াশোনা করতে ব্রিস্টল পাড়ি দিলে স্বস্তিকা সম্পর্কে ইতি ঘটান।

স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, পরমব্রত তাঁকে ডিচ করেছিলেন ব্রিস্টল থেকে একটি ইমেল পাঠিয়ে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হল, স্বস্তিকার সাথে সেই সময় অভিনেতা-গায়ক দিব্যেন্দু (Dibyendu)-র সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এবং তা পরমব্রত ব্রিস্টল পৌঁছানোর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই। তবে স্বস্তিকার অভিযোগের কোনো উত্তর পরমব্রত কখনও দেননি। কারণ সম্পর্কের মর্যাদা নষ্ট করতে চাননি তিনি। দিব্যেন্দুর সাথে স্বস্তিকার সম্পর্কের মেয়াদ বেশি দিন ছিল না। এরপর সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)-র সাথে স্বস্তিকার সম্পর্কের গুঞ্জন তৈরি হয়।

দুই তারকাকে একসাথেই সব ইভেন্টে দেখা যেত। তবে একটি পার্টিতে সৃজিতের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে স্বস্তিকার নাচের বিতর্কিত ছবি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে অচিরেই এই সম্পর্কের ইতি ঘটে। সৃজিত পরিচালিত ফিল্ম ‘জাতিস্মর’-এর সময় এই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। এই ঘটনার কিছুদিন পর স্বস্তিকার সাথে তৈরি হয় সুমন মুখোপাধ্যায় (Suman Mukherjee)-র সম্পর্ক।

কলকাতার একটি নামী হোটেলের ঘরে এই সম্পর্কের জেরেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন স্বস্তিকা। ওই হোটেলের কর্মচারীরা জানিয়েছিলেন, রুমের মধ্যে সুমনের সাথে স্বস্তিকার বচসা হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল কাঁচের বাসন ভাঙার আওয়াজ। তবে এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে স্বস্তিকা বা সুমন মুখ খোলেননি। তাঁরা একসাথে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। সেখানে লিভ-ইন করতে শুরু করেছিলেন সুমন ও স্বস্তিকা। নিজের মনের মতো করে সাজিয়েছিলেন অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু সুমনের স্ত্রী মল্লিকা জালান (Mallika Jalan) বিবাহ বিচ্ছেদ না দিতে চাওয়ার ফলে এই সম্পর্ক টেকেনি। স্বস্তিকার কেরিয়ার মুম্বই-এ গতি পেলেও সুমনের কেরিয়ারে শুরু হয়েছিল উতরাই। ফলে তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়।

বর্তমানে স্বস্তিকা কোনো সম্পর্কে নেই। তাঁর মতে, ন্যাড়া বেলতলায় একবার গেলেও তিনি বারবার গিয়েছেন ও সেখানে ঘর-বাড়িও বানিয়ে ফেলেছেন। প্রাক্তনদের মধ্যে শুধুমাত্র সৃজিতের সাথে স্বস্তিকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। পরমব্রত মনে করেন, প্রাক্তন কখনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেন না। তবে তাঁরা সহকর্মী। কিন্তু সত্যিই কি ভালোবাসা বারবার ঘটে?

whatsapp logo