Health Tips: ঘনঘন জল তেষ্টা পায়? সাবধান! হতে পারে মারন রোগের লক্ষণ
কথায় আছে, জল জীবন। জল ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। শরীরের কোষ এর গঠন এর জন্য, ত্বক উজ্জল করতে, চুল ভালো রাখতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে জল একটি অপরিহার্য উপাদান। গ্রীষ্মকালে সকালবেলা বা প্রখর তাপে আপনার ঘনঘন জল তেষ্টা পাওয়া খুব স্বাভাবিক, কিন্তু অকারণে আপনার যদি ঘন ঘন জল তেষ্টা পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে চলেছে কোন ভয়ঙ্কর রোগ।
যারা প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন হয়, তা সত্বেও যদি অত্যধিক জল তেষ্টা পায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং খেয়াল রাখুন, আপনার শরীরে এই রোগগুলো বাসা বাঁধছে কিনা। আপনার শরীরে যদি জলের অভাব দেখা যায় তা বুঝবেন কি করে? ঘন ঘন মাথা ব্যথা, গ্যাস, অম্বল এর সমস্যা, ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
প্রথমত, ডায়াবেটিস -»
যারা ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাদের জলতেষ্টা ঘনঘন পায় কারণ, রক্ত থেকে চিনি জাতীয় পদার্থকে বার করার জন্য কিডনিকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার ফলে আপনাকে বেশি বার বাথরুমে যেতে হয় এবং ফলস্বরুপ ঘনঘন জল তেষ্টা পায়। বারবার বাথরুমে যাওয়া এবং ঘন ঘন জলতেষ্টা পাওয়া এই দুটো লক্ষ্য নেই একজন ডায়াবেটিক রোগীর লক্ষণ।
দ্বিতীয়ত, অ্যানিমিয়া -»
যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের ও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিন না থাকার জন্য এই সমস্যা দেখা যায়। উল্টোপাল্টা খাবার বা কোন কারনে খাদ্যাভ্যাসে গোলমাল থাকলে আয়রন জাতীয় খাবারের ঘাটতি থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হয়। আপনি যদি অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই আপনার মধ্যে অলসতা মাথাব্যথা অতিরিক্ত ঘাম এই লক্ষণগুলি দেখা যাবে।
তৃতীয়ত, হাইপারক্যালসেমিয়া -»
হাইপারক্যালসেমিয়া হলো এমন একটি অবস্থান যে সময় শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। প্যারাথাইরয়েড জন্যই এমনটা হতে পারে। এছাড়াও যারা টিউবারকিউলোসিস বা টিবি অথবা ক্যান্সারের রোগী আছেন তাদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আপনার রক্তে যদি থাকে তাহলে হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে এবং কিডনিতে পাথর জমবে সাহায্য করে।
চতুর্থত, ড্রাই মাউথ -»
আমাদের মুখের মধ্যে আমাদের লালাগ্রন্থি যখন উপযুক্ত পরিমাণে লালা নিঃসরণ করতে না পারে ঠিক সেইসময় সমস্যা দেখা যেতে পারে। অতিরিক্ত জল তেষ্টা পায়। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করেন তাদের এই সমস্যা দেখা যায়। ড্রাই মাউথের অন্যান্য সিমটম গুলি হল মুখে দুর্গন্ধ, মাড়ির সমস্যা, সাধের ক্ষেত্রে পরিবর্তন।
পঞ্চমত, গর্ভধারণের সময় -»
প্রেগনেন্সির সময় অনেক মহিলা এই রকম সমস্যা হতে পারে। এই সময় কিডনি অতিরিক্ত পরিমাণে শরীর থেকে মূত্র বার করতে থাকে যার জন্য, শরীরের মধ্যে জলের অভাব দেখা যায় যার জন্য আপনি তৃষ্ণার্ত হতে পারেন।