মুখের ‘ওপেন পোরস’ সমস্যার সমাধান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
অনেকেই সাজগোজ করেন কিন্তু মুখের মধ্যে নানান ধরনের সমস্যা হয় তার মধ্যে একটি অন্যতম সমস্যা হলো ওপেন পোরস। এটাও যেকোনো একটা সমস্যা সেটাই অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না।
‘পোর’ কথাটির অর্থ হলো ‘রোমকূপ’।যা জন্মগতভাবে প্রত্যেকটি মানুষেরই থাকে কিন্তু পরবর্তীকালে বয়স হবার সঙ্গে সঙ্গে এটি বড় হতে থাকে। সমস্যা তখনই হয়। কিন্তু বাড়িতে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেও এই ওপেন পোরস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ওপেন পোরস সাধারণত ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে দূষিত জিনিসকে বার করে দিতে সাহায্য করে, তাছাড়াও ত্বকের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে ওপেন পোরস।
পোরস আমাদের জন্য ভীষণ দরকারি একটি উপাদান একই পুরোপুরিভাবে শরীর থেকে তুলে ফেলা সম্ভব না কিন্তু রোমকূপকে যদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা যায় তাহলে বড় রোমকূপকে ছোট করা সম্ভব। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক অনেক বেশি ঝুলে যেতে থাকে। তাছাড়াও ব্ল্যাকহেডস, অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থ শরীরের ভেতর থেকে ক্ষরণ হওয়ার ফলে রোমকূপের আকার অনেকটা বড় হয়ে যায়। এতটাই বড় হয়েছে উপর থেকে দেখতে খুবই খারাপ লাগে। তাই মোটামুটি কুড়ি, বাইশ বছর বয়স থেকেই যত্ন নিন ত্বকের। বয়ঃসন্ধির সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, ত্বককে খুব ভালো করে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। যা অনেকেই করেননা। এ সময় অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, ব্রণ হলে ওপেন পোরস বেড়ে যেতে পারে।
এজন্য ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং ভীষণভাবে দরকার। তাছাড়া সপ্তাহে অন্তত দুইবার মুখের এবং গোটা শরীরে মরা কোষ দূর করার প্রয়োজন আছে। যাকে বলা যেতে পারে এক্সফলিয়েটর।
সপ্তাহে একদিন অন্তত ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে বা গোটা শরীরে লাগাতে পারেন। এতে ওপেন পোরস এর সমস্যা চলে যাবে এবং স্কিন অনেক বেশি টান টান সুন্দর হবে। বয়স একটু বেড়ে গেলে অর্থাৎ ২৫ এর পরে অবশ্যই অ্যান্টি-এজিং ফেস প্যাক লাগাতে হবে।
তাছাড়াও খাওয়া-দাওয়া অনেক বুঝে শুনে করতে হবে। যাদের বেশি ব্রণের সমস্যা আছে তারা কখনোই অয়েলি খাবার বেশি খাবেন না। যে সমস্ত খাবারে বয়স ধরে রাখার ক্ষমতা আছে সেই সমস্ত খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।