Business in Durgapuja: পুজোর আগে এই ৫ ব্যবসা থেকেই হাজার হাজার টাকার মুনাফা, উঠে যাবে পুজোর খরচ
বর্তমান সময়ে চাকরির বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন অনেকেই। তাই আজকালকার দিনে ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। মূলধন অনুযায়ী সকলেই এখন ব্যবসার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। কেউ কেউ যেমন বেশি মূলধন নিয়ে বড়সড় ব্যবসায় নামার কথা ভাবছেন, তেমনই আবার অনেকে ছোটখাটো অঙ্কের মূলধন নিয়ে বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। আর সেই কারণেই আজকাল অনেকেই স্বনির্ভর হয়ে উপার্জন করে থাকেন।
এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এটি। তাই এই উৎসবে পকেট থেকে অনেক টাকা বেরিয়ে যায়। তাই পুজোর আগে বা পুজোর দিনগুলিতে বাড়তি কিছু টাকা হাতে এলে অনেকের ক্ষেত্রেই অনেক সুবিধা হয়ে থাকে। আর এবার পুজোর আগে সেরকম সুযোগ রয়েছে সকলের জন্য। কিছু ক্ষুদ্র ও সাময়িক ব্যবসা থেকে পুজোর দিনগুলিতে ভালো রোজগার করা যাবে। এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেইসব ব্যবসার বিষয়ে।
● খাবারের দোকান: পুজোতে ঘুরতে বেরিয়ে অনেকেই বাইরে খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তাই পুজোর কয়েকদিন বিভিন্ন ধরণের ফাস্ট ফুডের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সেই কারণে এই পুজোতে ফাস্ট ফুড সহ নানা খাবারের দোকান করলে ভালো রোজগার করা যাবে। এই দোকানে ফুচকা, পাপড়ি চাট এমনকি বিরিয়ানিও রাখতে পারেন। প্রতিদিন কয়েকহাজার টাকা রোজগার হবে এই ব্যবসা থেকে।
● আইসক্রিমের দোকান: পুজোতে বেরিয়ে আইসক্রিম খাওয়া অনেকের অভ্যেস। সে ভারী খাবার খাওয়ার পর হোক কিংবা দিনের বেলায় ঘুরতে ঘুরতে গলা শুকিয়ে গেলেই হোক- আইসক্রিমের চাহিদা এই সময় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই যেকোনো পুজো মণ্ডপের কাছাকাছি রাস্তার ধারে বা কোনো দৃশ্যমান জায়গায় আইসক্রিমের স্টল করলেই হাজার হাজার টাকা রোজগার হবে।
● মিষ্টির দোকান: বাঙালি ও মিষ্টি হল একে অপরের সমার্থক। আর দুর্গাপুজোর সঙ্গে মিষ্টির এক প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরণের থিমের মিষ্টি বানিয়ে সাময়িক একটি স্টল করলে তাতে ব্যাপকভাবে বিক্রি হতে পারে। এই ব্যবসা থেকে লাভ হবে নিশ্চিতভাবে।
● সাজসজ্জার জিনিসের দোকান: দুর্গাপুজোয় বাহারি খাবার লহাপার পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যে সাজগোজ করার প্রবণতা বেড়ে যায় অনেকটাই। তাই এই সময় বিভিন্ন কসমেটিক প্রোডাক্ট সহ মেকআপের সরঞ্জাম নয় একটি স্টল করলে তা থেকে ভালো রোজগার করার সুযোগ থাকবে।
● প্রদীপের দোকান: দুর্গাপুজোর পরেই আসছে দীপাবলি। আর বাঙালির এই দুটি উৎসবেই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। তাই শিল্পীদের থেকে পাইকারি হিসেবে প্রদীপ কিনে, তা যদি এই সময় একটি দোকান করে বিক্রি করা যায়, তা থেকে ভালো মুনাফা অর্জন করা যাবে।