আমরা রান্না করতে অনেকেই ভালবাসি, রান্না করার সময় আমরা অনেকেই টক দই ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি কি জানেন? টক দই ব্যবহার করার একটা নিয়ম আছে। টক দইকে আপনি যদি আগে বা পরে একটু অন্যভাবে ভুল করে দিয়ে ফেলেন, তাহলেই কিন্তু পুরো রান্নাটা মাটি হয়ে যাবে। যারা বাড়ির গৃহিণীরা আছেন, তারা যদি ছোট ছোট টিপসগুলো ফলো করতে থাকেন। তাহলে কিন্তু তাদের রান্না আগের থেকে শত গুণে বেড়ে যাবে।
যারা নতুন বিয়ে করেছেন অথবা নতুন রান্না ঘর সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন, তারা কিন্তু অবশ্যই জেনে নিন, রান্নায় কখন কিভাবে এবং কতটা টক দই দেবেন। টক দই বেশি হয়ে গেলে বেশি টক হয়ে যাবে, আবার টক দই বেশি আগে দিয়ে ফেলে পুরো রান্না কিন্তু ছানা কেটে যাবে। তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে নিন পাঁচটি টিপস।
১) টক দই যখন কোন রান্নায় ব্যবহার করবেন, তখন সেই রান্নায় যা যা মশলা বা পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা দেবেন, তার সঙ্গে টক দইকে খুব ভালো করে মিশিয়ে ফেটিয়ে দিন, না হলে কিন্তু টক দইয়ের ডেলা পাকিয়ে যাবে।
২) রান্না যখন হাইফ্লেমে করবেন তখন কিন্তু কখনোই টক দই মেশাবেন না, টক দই মেশাবেন যখন রান্নাকে খানিকটা কম আঁচে রান্না করবেন, সেই সময় টক দই মেশালে টক দই কিন্তু কখনোই ফেটে ছানা কেটে যাবে না।
৩) তখনই তরকারির মধ্যে দই দেবেন, তখনই কিন্তু একটি চামচ বা হাত নিয়ে কন্টিনিউয়াস নেড়ে যেতে হবে। না হলেই কিন্তু দলা পাকিয়ে যাবে। মশলা ভালো করে কিছুতেই দইয়ের সঙ্গে মিশবে না, যার ফলে ঝোল কেটে নষ্ট হয়ে যাবে।
৪) রান্নায় যখন দই মেশাবেন তখন দইয়ের সঙ্গে বেশ খানিকটা আটাকে ভালো করে মিশিয়ে রান্নার মধ্যে দিয়ে দিন। এতে দইও সুন্দরভাবে ফেটিয়ে নেওয়া হবে, আর সেই ঝোলও কিন্তু বেশ মাখোমাখো হবে।
৫) রান্নার ব্যবহার করতে পারেন ফুল ফ্যাট দই, তাতে কিন্তু রান্নার স্বাদ অনেক ভালো হবে।