করুণাময়ী রাণী রাসমণি এখন তার উত্তর পর্বের হাত ধরে চলছে। রাণীমা বিগত হয়েছেন কাহিনী থেকে, আর তারও আগে বিগত হয়েছেন তার স্বামী রাজচন্দ্র ওরফে গাজী আব্দুন নূর। বাংলাদেশের অভিনেতা এই গাজী আব্দুন। এপার বাংলায় এসেছিলেন করুণাময়ী করবেন বলে। ধর্মে মুসলিম হলেও পর্দায় বুঝতে দেননি তিনি বেমানান। নিষ্ঠা ভরে মাকে প্রণাম যেমন করেছেন তেমনই স্ত্রী যত্ন, নারী অধিকার নিয়ে বলিষ্ঠ ছিলেন।
সম্প্রতি গাজী আব্দুন তার পুরোনো কাহিনী শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথম শ্যুটিং থেকে কি কি হল তারই বর্ণনা করেছেন তিনি। তার কথায়, তিনি নাকি দুটো শব্দে জব্দ হয়েছিলেন। সেইসময় তাকে শুনতে হয়, “এই হিরোকে দিয়ে এই সিরিয়াল চলবে না”! কিন্তু, হাল ছেড়োনা বন্ধু। কিভাবে নিজের জায়গা পোক্ত করলেন সেই কাহিনী উঠে এসেছে গাজী আব্দুন এর সোশ্যাল পাতায়।
“ঈদের আগের দিন রাতে কল টাইম পেলাম… অর্থাৎ ঈদের দিন প্রথম শুটিং শুরু করুণাময়ী রানী রাসমনির।
নলবন ২ আউটডোর শুটিং।
শুটিং শুরু হলো সকাল ১০ টা থেকে,
দুপুর বিকেল সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বারোটা দুটো শব্দের একটা ডায়ালগ এ গিয়ে আটকে গেলাম…” সেকি, কেন?”
দুটো শব্দ কোনভাবেই চরিত্রের পার্সোনালিটি কে প্রেজেন্ট করছিল না।
কানে আসতে লাগল “এই হিরোকে এ দিয়ে এই সিরিয়াল চলবে না”!
সেদিন তুমি হাল ছাড়োনি, তাই দাঁড়াতে পেরেছিলাম। বলেছিলে একজন শিক্ষিত অভিনেতা হতে!
শুটিং এর শেষ দিন আমার কপালে চুমু খেয়ে বলেছিলে “কখনো অহঙ্কার করবি না ”
সেইদিনের সেই গুরু, সেই শিক্ষকের চোখের জল এবং সেই স্পর্শ আমার জন্যে আশীর্বাদ হয়ে রইল।
শুভ হোক তোমার বর্তমান এবং আগামী প্রতিটা দিন।
শুভ জন্মদিন দাদা।
Rajendra Prasad Das
কাল দিনের বেলায় ফোন করছি, অনেকদিন তোমার গাল খাইনা “
অভিনেতা এখন আর এপার বাংলায় এসে কাজ করছেন না ঠিকই কিন্তু, এপার বাংলায় তার ফ্যান ফলোয়ার প্রচুর। তার এমন পোস্ট দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট জনতা।