PM-KISAN Yojana2023: একমাত্র যোগ্য কৃষকরা পাবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, জানুন কারা যোগ্য কৃষক
কৃষি ভিত্তিক দেশে কৃষকদের জন্য রয়েছে এক দুর্দান্ত প্রকল্প, সেটা হল PM-KISAN Yojana। এটি ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ যা কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য সারা দেশে কৃষকদের পরিবারকে প্রতি বছর ৬০০০ টাকা আয় সহায়তা প্রদান করা। প্রতিটি ২০০০ টাকার তিনটি কিস্তিতে তহবিলগুলি সরাসরি যোগ্য কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এটি একটি সরকারী প্রকল্প যা ভারতে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে চালু করা হয়েছিল৷ এই প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা
কৃষকদের কাছে, প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকে এপ্রিল-জুলাইয়ের মধ্যে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকে অগাস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে, এবং তৃতীয় কিস্তির টাকা আসে ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে। এখন জুলাই চলছে। অর্থাৎ আর কয়েকদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকার লেনদেন প্রক্রিয়া শেষ হবে। ইতিমধ্যে, ১২ কোটিরও বেশি কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় নাম লিখিয়েছেন। সবাই কি পাবেন টাকা? উত্তর হল – হ্যাঁ।
তিনটে কিস্তিতে ২ হাজার করে টাকা পান কৃষকরা। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার বাকি দ্বিতীয় কিস্তি। সূত্রের খবর, আগামী ২৮ জুলাই ২০২৩, ‘যোগ্য কৃষকদের’ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি এই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসতে। কিন্তু, কেন এখানে ‘যোগ্য কৃষক’ বলা হচ্ছে? এখানেই রয়েছে টুইস্ট।
পিএম কিষাণ পোর্টালের জারি করা বার্তা অনুযায়ী, পিএম কিষাণ নিবন্ধিত কৃষকদের জন্য ই-কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, যাদের ই-কেওয়াইসি করা হয়নি তারা কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির সুবিধা পাবেন না। অবশ্য এর জন্য সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। তাই অবিলম্বে ই-কেওয়াইসি করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে কি করতে হবে এখন? প্রথমত, pmkisan.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে হবে, গেলেই পেয়ে যাবেন ‘ফার্মার্স কর্নার’ নামে মেনু। সেখানে রয়েছে ই-কেওয়াইসি বিভাগ। ই-কেওয়াইসি বিভাগে ক্লিক করলে একটা নতুন পেজ খুলে যাবে। ওখানে নিজের আধার নম্বর লিখে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে একটি চার সংখ্যার ওটিপি যাবে। বক্সে সেটা টাইপ করতে হবে। এরপর ৬ সংখ্যার নম্বর এবং ওটিপি আসবে। এটাও টাইপ করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। পরপর করলেই ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া নিজে না করতে পারলে নিকটবর্তী সিএসসি কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ করতে পারেন।