খসবে না কোনো টাকা, বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমিয়ে ফেলুন সম্পূর্ণ ঘরোয়া টোটকায়
বর্ষার মরশুমে খিচুড়ি মাছ ভাজা যেমন খেতে ভালো লাগে তেমনই অত্যাচারিত মনে হয় যখন পোকামাকড় দাপিয়ে অশান্তি করে। চপ্পল জুতো ছাতা সব দিয়েই মেরেছেন পোকামাকড়, এরপরেও বিছা, কেন্নো, শুঁয়োপোকা,আরশোলা, পিপড়ে রাজ করছে আপনার ঘরে। কিভাবে তাড়াবেন বুঝতে পারছেন না তাই তো? চলুন দেখে নিই কয়েকটা ঘরোয়া উপায় যার দ্বারা ঘরের পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানো যায়।
কেরোসিন তেল ও ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন – একটি বোতলে গরম জলে সাবান ও কেরোসিন তেল মিশিয়ে রাখতে হবে, এরপর খাটের তলায় ও ঘরের প্রতিটি কোণে স্প্রে করে দিতে হবে। এতে করে বাড়ির মধ্যে কোনো পোকামাকড় ঢুকতে পর্যন্ত পারবে না। আর পিপড়ে হলে আগে পালাবে। কেরোসিন তেলের সুবাস পিপড়ে সহ্য করতে পারে না।
ডেটল জল – রাতে শোয়ার সময় বেসিনের নালীতে, ঘরের কোণে, বিছানার পাশে দিয়ে, জানলার কোণায় কোণায় ডেটল জল স্প্রে করে দিন। কোনো পোকা ঢুকতে পারবে না।
পুদিনা পাতা স্প্রে – বাজারে পুদিনা পাতা খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। এর সরবৎ যেমন খেতে দারুন তেমনই এই পাতা পোকামাকড় দুর করতে ওস্তাদ। প্রথমে জলে কিছু পাতা নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে ঘরের যে সব জায়গায় মাকড়সার জাল আছে সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন কেমন মাকড়শা বাপ বাপ করে পালায়।
ব্লিচিং পাউডার – সপ্তাহে একদিন বাড়ির বাইরের চার পাশে ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে করে সাপ বা অন্যান্য কোনো বিষাক্ত পোকামাকড় আসতে পারবে না।
কর্পূর – পূজোয় শুধু কর্পূর লাগে এমনটা নয়, মশা, মাছি তাড়ানোর জন্য কর্পূর দুর্দান্ত। আধা কাপ জলে কর্পূর ভিজিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিলে মশা-মাছির উপদ্রব অনেক কমে যায়।
সুতরাং, বর্ষার সময় ব্যাবহার করুন ঘরোয়া উপাদান, তবে ঘরে বাচ্চা থাকলে সাবধান। রাতের দিকে এই ধরনের কীটনাশক পদার্থ ব্যাবহার করা ভালো, এতে করে পোকামাকড় পালাবে আর বাচ্চাদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।