দেব (Dev) অভিনীত ‘গোলন্দাজ’-এর ট্রেলার মুক্তির আগে থেকেই ভাইরাল হয়েছিল। এই ফিল্মের কাহিনী নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন দেব নিজে। ব্রিটিশ ভারতের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই কাহিনীর বুনোট অবশেষে দর্শকদের মন জিতে নিল। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি সত্ত্বেও দর্শকরা হলমুখী হলেন।
পুজোয় মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় (Dhruba Banerjee) পরিচালিত ‘গোলন্দাজ’ এখনও অবধি হাউসফুল। পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকাসন নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ খুললেও বক্স অফিসে এখনও অবধি সবচেয়ে বেশি আয় করল এই ফিল্ম। ‘গোলন্দাজ’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিস কালেকশন ছাড়াল দুই কোটির বেশি। ধ্রুব ‘গোলন্দাজ’-এর এই সাফল্যে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত।
View this post on Instagram
ধ্রুব জানিয়েছেন, ‘গোলন্দাজ’-এর পিছনে থাকা সমস্ত কষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলার জনতাকে এই কারণে বারবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি মনে করেন, উৎসবের মরশুম কেটে গেলে দর্শকরা আরও বেশি করে হলমুখী হবেন। ফুটবলের তৎকালীন সময়কে তুলে ধরেছে ‘গোলন্দাজ’।
View this post on Instagram
দেব জানিয়েছেন, নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর চরিত্র তাঁর কাছে ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফিল্মে 1870 সাল থেকে 1890 সালের অন্তর্বর্তী সময়কে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময়ের মানুষদের চারিত্রিক গুণাবলী, হাঁটা-চলা, কথা বলার ধরন, এমনকি দাঁড়ানোও যথেষ্ট আলাদা। সেই সময় ফুটবল খেলার ধাঁচও ছিল অন্যরকম। অনেকটা গায়ের জোরেই ফুটবল খেলা হত। ফলে দেবকে ভেঙে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে গঠন করতে হয়েছে তাঁকে। পর্দায় তাঁকে দেখে মানুষ যাতে দেব নয়, নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী মনে করেন, এটাই ছিল তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ। তবে ফুটবল ও কুস্তি দুটোই শিখতে সময় লাগে। এমনকি দেবকে শিখতে হয়েছে ধুতি পরে ফুটবল খেলা।
তিনি জানিয়েছেন, ধুতি পরে সাবলীলভাবে পা ফেলা যায় না। কিন্তু সেই সময় বাঙালিরা ধুতি পরে, খালি পায়ে ফুটবল খেলতেন। দর্শকদের যাতে মনে না হয়, দেব অভিনয় করছেন, তাই তাঁকে সত্যিই ফুটবল খেলতে হয়েছে। ট্রেলার, গান দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। দেবের কাছে তা উপরি পাওনা। তবে দেব এই ফিল্মকে বায়োপিক বললেও ধ্রুব বলেছেন, এটি একটি হিস্টোরিক ফিকশন। তিনি তাঁর চোখ দিয়ে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে দেখেছেন। যিনি ছিলেন বিস্মৃতপ্রায়, তাঁকে তাঁর মর্যাদা ও গৌরব ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন ধ্রুব। ‘গোলন্দাজ’-এর চিত্রনাট্য ইতিহাস আশ্রিত যা অনুপ্রেরণা হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ধ্রুব। তবে তিনিও মনে করেন, দেবের কাছে এই ফিল্ম একটি বায়োপিক। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, তিনিই নগেন্দ্রপ্রসাদ। এখানেই সার্থক হয়েছে ‘গোলন্দাজ’।
View this post on Instagram