নিমেষেই দূর হবে ব্লাড সুগারের মতো জটিল রোগ বাড়িতেই চাষ করুন গুলঞ্চ
চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড এর জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অথবা ডায়াবেটিস ক্যান্সার ত্বকের সমস্যা, অ্যালার্জি কিছুকে ম্যাজিকের মতন ভ্যানিশ করে দিতে পারে এই গাছটি। সংস্কৃত শাস্ত্রে এই গাছের নাম অমৃতা। ইংরেজিতে বলা হয় গিলয়। বাংলায় বলা হয় গুলঞ্চ। আশেপাশে অনেক সময়ই এই গাছ হয়ে থাকে কিন্তু আমরাই গাছ কে চিনতে পারিনা। এই গাছের ঔষধি গুন সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হবেন। ওজন কমাতে সাহায্য করে গুলঞ্চ, সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থ ওষুধগুলো। গুলঞ্চ এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার জন্য ক্যান্সারকে শরীরে আসতে দেয় না গুলঞ্চ। এত উপকার যখন এই গাছের তখন আপনি আপনার বাড়িতে উঠানে ব্যালকনিতে যদি অনায়াসে চাষ করতে পারেন গুলঞ্চ।
কাছাকাছি নার্সারি থেকে গুলঞ্চ ডাল কিনে আনতে পারেন। অথবা যারা এই শুকনো ডাল নিয়ে অনেক সময় বিক্রি করতে বসেন তাদের থেকেও নিতে পারেন।
ছাদের অন্যান্য গাছের জন্য যেমন মাটি প্রস্তুত করেন গুলঞ্চ এর জন্য তেমন মাটি তৈরি করতে পারেন। বাগানে যদি বড় কোন গাছ থাকে তার গোড়ায় অনায়াসে চাষ করুন গুলঞ্চ। গাছ লতানো হয় তাই বড় গাছের উপর তুলে দিলেই একেবারে ঝোপের আকার ধারণ করবে। খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এই গাছ।
মোটামুটি ১২ ইঞ্চির টবে মাটি দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন গুলঞ্চ। ছোট ছোট ডাল কেটে কেটে মাটির মধ্যে প্রতিস্থাপন করুন। এখন থেকে প্রতিস্থাপন করতে পারলে বর্ষার সময় খুব সুন্দর ভাবে বৃদ্ধি পাবে এই গাছ। বাগানে অন্যান্য গাছে যেমন সার প্রয়োগ করেন এই গাছেও মাঝেমধ্যে সরষের খোল পচা সার দিতে পারেন। ছাদে ব্যালকনিতে অনায়াসে এই গাছ লাগিয়ে দিতে পারেন। ব্যালকনির শোভা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই গাছ।
দু ইঞ্চি ডাল কেটে নিয়ে আগের দিন রাতে জলের মধ্যে ভিজিয়ে নিয়ে পরের দিন সেটি পান করুন। সমস্ত রোগের থেকে উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের ঋতুকালীন পরিবর্তনের সময় সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এই গুলঞ্চ রস খাওয়াতে পারেন। তাহলে ঠান্ডা লাগা একেবারে দূরে থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা আবহে ইমিউনিটি বাড়ানোর দরকার। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে গুলঞ্চ ব্যবহার করুন এবং বাড়িতে চাষ করুন।