Haimanti Ganguly: স্বল্প পোশাক পরে মদ খেয়ে রাতভর এই কাজ করতেন হৈমন্তী
গত সপ্তাহেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসেছে নয়া মোড়। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) গ্রেপ্তার করার পরেই যেন তদন্তের নতুন সব সূত্র খুঁজে পেয়েছে ইডি-র গোয়েন্দারা। আর এর মাঝেই তার মুখে উঠে আসে নতুন একটি নাম- হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। এই রহস্যময় নারী আদতে সাক্ষীগোপাল দলপতির অর্ধাঙ্গিনী বলে দাবি অনেকের। যদিও এই বিষয়টি অস্বীকার করে হৈমন্তীর বাবা মা জানিয়েছেন যে মেয়ে ও জামাইয়ের অনেকদিন আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। তাই এই নারী চরিত্রের আসল খোঁজ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা। চলছে চুলচেরা তদন্ত। আর এর মাঝেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের রোজকার জীবন নিয়ে বিস্ফোরক কথাবার্তা বললেন তার পাড়া-পড়শীরা। সুচারু নয়, বরং উশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন হৈমন্তী, এমনটাই দাবি তাদের। তাদের দাবি, এই মহিলার প্রতি নাকি পাড়ার বেশিরভাগ মানুষজন বিরক্ত ছিলেন। এমনকি তারা দাবি করেন যে ঐ ফ্ল্যাটে শেষবার জানুয়ারিতেই দেখা গিয়েছিল সাক্ষীগোপাল ওরফে গোপালদা’কে। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে নাকি সেখানে দেখা যায়নি রহস্যময়ী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কেও। তাহলে তারা আছেন কোথায়? এই প্রশ্ন যখন চারদিকে উঠছে, তখনই এক প্রতিবেশীর জবানবন্দি দেখিয়ে দিল এই অভিনেত্রীর জীবনধারা।
এই প্রসঙ্গে এই প্রতিবেশী জানান, “গোপাল ও হৈমন্তী দু’জনে স্বামী-স্ত্রী বলে জানতাম। গোপাল নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই চলাফেরা করতেন। সকালে পুরসভার জঞ্জালের গাড়ি এলে গোপাল ফ্ল্যাটের ঝুলবারান্দা দিয়ে আবর্জনা ভরা প্লাস্টিক দড়ি করে ঝুলিয়ে ফেলে দিতেন। থলে হাতে নিয়ে বাজারও যেতেন। এলাকায় লোকজনের সঙ্গে দেখা হলে টুকটাক কথা বলতেন। কিন্তু হৈমন্তীর জীবনযাত্রা একেবারে ভিন্ন ছিল। তিনি কী করতেন কোথায় যেতেন কেউ কিছুই জানতেন না। তবে তার চলাফেরা দেখে সন্দেহ হত। তার সাজপোশাকও ছিল একটু অন্যরকমের। স্বল্প পোশাকে বেশিরভাগ সময় তাকে দেখা যেত। এমনি সময় খুব একটা বাইরে বের হতেন না। অনেক সময় দেখতাম, তাকে নিতে অনেক দামি গাড়ি আসত। স্বল্প পোশাক পরে গাড়িতে উঠে পড়তেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাত হলে তার ফ্ল্যাটে একাধিক মহিলা আসতেন। তাদের সাজ পোশাক ও ব্যবহার রহস্যজনক লাগত। এছাড়াও কিছু বহিরাগতর আনাগোনাও ছিল।”
এছাড়াও আরেক প্রতিবেশী দাবি করেন, “রাতভর ঘরে বহিরাগতদের নিয়ে পার্টি করতেন তিনি। মদের বোতল খাবারের প্যাকেট জানালা দিয়ে ছুড়ে আমার বাড়ির ফাঁকা জমিতে ফেলতেন। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু হৈমন্তী বেপরোয়া ছিলেন। কাউকে তিনি যেন তোয়াক্কা করেন না। এমন ভাব প্রকাশ করতেন বোঝাই যেত তার মাথার উপর প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে।”