Hair Care Tips: পুজোয় আপনার চুলের উপর থাকবে সবার নজর, টকদই দিয়ে করুন পরিচর্যা
গরমকাল মানেই বাড়িতে টক দই পাতার একেবারে ধুম পড়ে যায়। টক দই খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ ভালো। যারা দুধ হজম করতে পারেন না তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বজায় রাখার জন্য তারা অনায়াসে টক দই বাড়িতে পেতে খেতে পারেন। তবে শুধুমাত্র টক দই খাওয়া নয়, আপনি কি জানেন এই পুজোর আগে যদি আপনার চুলকে ভীষণ সুন্দর সিল্কি করতে চান? তাহলে টক দই খুব ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। তাহলেই দেখবেন আপনি একেবারে সফট চুল পেয়ে গেছেন, এর জন্য আপনাকে আর পার্লারে গিয়ে আলাদা করে চুলকে সুন্দর করে তুলতে হবে না। পার্লারে আমরা যাই ঠিক কথাই, কিন্তু সেখানে কিভাবে আপনার চুলের জন্য হেয়ার প্যাক তৈরি করা হচ্ছে, আপনি কিন্তু নিজেও জানেননা। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন পাঁচটি অসাধারণ টক দই দিয়ে হেয়ার প্যাক।
১) টক দই, মধুর হেয়ার প্যাক – টক দই ও মধুর হেয়ার প্যাক আপনি চুলে প্রতিদিন প্রায় পরপর সাতদিন যদি লাগাতে পারেন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর কালো, ঝলমলে হয়ে গেছে।
২) টক দই, অ্যালোভেরা জেল হেয়ার প্যাক – টক দই অ্যালোভেরা জেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি খুব ভালো করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণটি যদি আপনি চুলে বেশ কয়েকদিন লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে গেছে বিশেষ করে যাদের খুশকির সমস্যা আছে, সেই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৩) টক দই, লেবুর রস হেয়ার প্যাক – টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন, মিশ্রণটি চুলে লাগাতে পারেন, তাহলে খুশকির সমস্যা থেকে আপনি বেঁচে যাবেন।
৪) টক দই, কারি পাতা বাটা হেয়ার প্যাক – টক দইয়ের সঙ্গে কারিপাতা খুব ভালো করে বেটে নিন। আর এই মিশ্রণটি আপনি যদি চুলের গোড়া থেকে একদম ডগা পর্যন্ত খুব ভালো করে লাগিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনার চুল হবে ভীষণ সুন্দর।
৫) টক দই, ডিমের হেয়ার প্যাক – টক দইয়ের সঙ্গে ডিম খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তবে যাদের আঁশটে গন্ধ লাগে তারা এটি ব্যবহার করবেন না, একে খুব ভালো করে চুলের গোড়া থেকে লেন্থ পর্যন্ত লাগিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে নেবেন, সপ্তাহে একদিন করলেই যথেষ্ট।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।