whatsapp channel

Health Tips: প্রতিদিন শসা খান, আর মুক্তি পান ১০টি কঠিন রোগ থেকে

শসা খাদ্য ও পুষ্টিগুনে পরিপূর্ণ। তাই বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রেই রোগীরা শসা খেতে পারেন। শসায় রয়েছে ভিটামিন-বি১ (থিয়ামিন), ভিটামিন-বি২ (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন-বি৪ (নিয়াসিন), ভিটামিন-বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড), ভিটামিন-বি৬ (পাইরিডক্সিন), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, গ্লুকোজ, প্রোটিন,…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

শসা খাদ্য ও পুষ্টিগুনে পরিপূর্ণ। তাই বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রেই রোগীরা শসা খেতে পারেন। শসায় রয়েছে ভিটামিন-বি১ (থিয়ামিন), ভিটামিন-বি২ (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন-বি৪ (নিয়াসিন), ভিটামিন-বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড), ভিটামিন-বি৬ (পাইরিডক্সিন), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, গ্লুকোজ, প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, ফাইবার, এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ, যেমন- পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, সোডিয়াম, দস্তা ইত্যাদি। শসার ৯৬% জলীয় পদার্থ নিয়ে তৈরি, তাই এটি শরীরের হাইড্রেশনেও সাহায্য করে।

Advertisements

শসার নানা ধরনের ভেষজ গুণ রয়েছে। শুধু রূপচর্চাই নয়, শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত শসা খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন শসা খেলে নিম্নলিখিত রোগ গুলি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

Advertisements

১. শরীরে জলশূন্যতায়:
যেহেতু শসায় প্রায় ৯৬ শতাংশ জল থাকে তাই শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে শসা খুবই উপকারী। এটি দুর্বলতা দূর করে শরীরকে দ্রুত সতেজ করে তোলে।

Advertisements

২. শরীরে ভিটামিনের চাহিদায়:
অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিনসমূহ যেগুলি শরীরে প্রতিদিন প্রয়োজন তার বেশিরভাগই রয়েছে শসায়। ভিটামিন-বি ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-কে এবং আরও বেশ কয়েকটি খনিজ লবণ রয়েছে শসায়, যেগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Advertisements

৩. ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে:
প্রতিদিন শসা খেলে সুগার বা ডাইবেটিসের সমস্যা দূরীভূত হয়। শসায় থাকা বিশেষ পুষ্টি উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
শসায় উপস্থিত ভিটামিন-সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, সিলিকা, ইত্যাদি উপাদানগুলি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শসায় উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলি উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি হার্ট এবং ফুসফুসের সমস্যাও দূর করে।

৫. কিডনির পাথর দূরীকরণে:
দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থের দূরীকরণে শসার জলীয় অংশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন শসা খেলে তা কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার সমাধানেও শসা উপকারী।

৬. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে:
শসা মস্তিষ্ক ও ধমনীতে জমে থাকা প্রচুর এলডিএল হ্রাস করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৭. হজমে:
প্রতিদিন খাওয়ার পর কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়। শসায় ইরেপসিন নামক একটি এনজাইম উপস্থিত যা দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসার নিরাময়েও শসার ভূমিকা রয়েছে।

৮. মাথাব্যথা উপশমে:
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যাদের মাথা ব্যথা হয় এবং শরীরের অবসাদ আসে তাদের ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরো শসা খেলে এই সমস্যা দূরীভূত হয়।

৯. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে:
শসায় রয়েছে বেশ কয়েকটি আয়ুর্বেদিক উপাদান যেগুলি স্তন, জরায়ু এবং মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

১০. চুল, নখ ও চোখের যত্নে:
শসায় থাকা খনিজ লবণ চুল এবং নখকে সতেজ করে। এতে উপস্থিত সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত শসা খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে, এমনকি এটি ছানি পড়াও আটকায়।

whatsapp logo
Advertisements
Avatar
HoopHaap Digital Media