সুশান্ত সিং রাজপুতের কিছু অদেখা পারিবারিক ছবি, মৃত্যুর আগেও মাকে স্মরণ করেছিলেন অভিনেতা
বছর যখন ১৬, তখন ছেলেদের এবং মেয়েদের মধ্যে জন্ম নেয় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বীজ। এই সময় ঠিক ভুল বা ভালো মন্দের বিচার একদম থাকে না। সেই জন্য বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার পর গুরুজনদের মতামত নিয়ে আগে পা ফেলে ছাত্র ছাত্রীরা। এই সময় যদি বাবা মেয়েরা সন্তানের রাশ ধরে রাখতে পারেন শক্ত করে তবে ছেলে মেয়েরা জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি পেয়ে যায়। কিন্তু, যার মা ওই বয়সে চলে যায়, এমনকি মায়ের শেষ ডাকে যেই সন্তান সাড়া দিতে পারে না তার অবস্থা কী হতে পারে!!!
দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেল সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহননের। মৃত্যুর আগে পরিবার বলতে ছিল বাবা আর বোন। ভালোবাসতেন রিয়া চক্রবর্তীকে। নিজের বাড়িতেই লিভ ইন করতেন। কিন্তু, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সেও চলে যায়।
View this post on Instagram
মা মরা ছেলে মেয়েরা একটু বেশীই ইমোশনাল হয় হয়তো। বিশেষ করে যখন মা ডাকল, “তুই বাড়ি চলে যায় বাবা”, উত্তর গিয়েছিল, “এখন যাওয়া সম্ভব নয়”। এরপরের দিনই খবর আসে সেই মায়ের মৃত্যু সংবাদ। চোখের জল পড়বে কি করে? সে যে শোকে পাথর। তখন যে চোখে অনেক স্বপ্ন, তাই মায়ের ডাক বেমালুম পাত্তা দেননি। মা ২০০২ সালে তারাদের দেশে চলে যান। তারপর সেই চাঁদ তারা নক্ষত্র বড্ড আপন হয়ে যায়। মহার্ঘ্য এক টেলিস্কোপ কেনা হয় ওদের দেখার জন্য, কিন্তু কিভাবে যে নিজেই তারাদের দেশে চলে গেলেন তার কারণ অজানা।
৩৪ বছরের তরতাজা যুবক আত্মহননের কিছুদিন আগে শেষ পোস্ট করেন মায়ের উদ্দেশ্যে। মায়ের আর নিজের ছবি দিয়ে লেখেন, “আবছা অতীতের বাষ্প চোখের জলে ঝরে পড়েছে..অফুরন্ত স্বপ্ন একটা হাসি খুড়েই চলেছে.. এবং জীবন দ্রুত পরিবর্তনশীল, দুইয়ের মাঝে আমি ঝুলে রয়েছি..মা”।
View this post on Instagram