আজ সকাল থেকেই বলিউডের পরিবেশ থমথমে। সকাল ৭ টা নাগাদ আসে দুঃসংবাদ। প্রয়াত হন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। পাশে ছিলেন চির প্রেমিকা তথা স্ত্রী সায়রা বানু। চলুন একবার দেখি এই জুটির চিরও সবুজ লাভ স্টোরি।
সায়রা দিলীপের সম্পর্ক অটুট হলেও এদের বয়সের ব্যবধান বিস্তর। দিলীপ কুমার সায়রা বানুর থেকে প্রায় ২২ বছরের বড় ছিল। আগেকার দিনে ছেলেদের থেকে মেয়েদের বয়স কমই হতো বিয়ের ক্ষেত্রে। যদিও এই সময় পুরোটাই উল্টো। সমবয়সী বা মেয়েরা বয়সে বড় এরকমই ট্রেন্ড চলছে।
১৯৬৬-র ১১ অক্টোবর সায়রা বানু ও দিলীপ কুমারের বিয়ে হয়। ‘মুঘল-ই-আজম’ দেখে ১২ বছরের সায়রা প্রেমে পড়েন দিলীপ কুমারের। এরপর ‘ঝুক গয়া আসমান’ ছবির সেটে সায়রা বানুকে প্রোপোজ করেন দিলীপ সাব।
দিলীপ ও সায়রার দাম্পত্যের বয়স ৫৪. হাফ সেঞ্চুরি করেই ফেলেছেন এই জুটি। প্রায় সময় নিজেদের দাম্পত্যের ছবি পোস্ট করতেন সায়রা সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিলীপ কুমারকে জীবনের কোহিনুর বলে ভাবতেন অভিনেত্রী। এতটাই স্বামীর ভক্ত ছিলেন যে তার জন্য কেরিয়ার বিসর্জন দেন একটা সময়। পুরোপুরি দিলীপ কুমারের ঘরনী হয়ে যান। যদিও দিলীপ কুমার একটা সময় সায়রা বানুকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। এবং সেই সময় সায়রা বানু মন থেকে খুবই ভেঙে যান, যদিও ভালোবাসা ত্যাগ করেননি। দিলীপ কুমার সেই সময় বিয়ে করেন আসমা রেহমানকে (Asma Rehman)৷ যদিও এই বিয়ের দুবছর পর ফের সায়রা বানুর কাছে ফেরেন দিলীপ এবং আর অন্যমুখো হননি।
এই জুটির লাভ স্টোরি বলতে গিয়ে সন্তান প্রসঙ্গ মাঝে মধ্যেই উঠে আসে। নাহ, এই জুটির সন্তান নেই। দিলীপ তাঁর ‘দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড শ্যাডো’ আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, সায়রা মাঝে একবার গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর গর্ভপাত হয়। তারপর আর কোনও দিন সায়রা সন্তানসম্ভবা হতে পারেননি। এই ঘটনা দুজনকে গভীর শোক দিলেও একে অপরের সঙ্গ ছাড়েননি কখনো, যদিও কালের নিয়মে কোহিনুর বিদায় নিল তার অমূল্য রতন সায়রাকে ছেড়ে।