Hilsa Price: মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে বড় ইলিশ, দামে কতখানি পড়ল প্রভাব!
কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। কিভাবে হবে ইলিশ লাঞ্চ? ঘাড় মোটা পেট সরু ইলিশ কিনতে গেলে প্রায় ওজন হচ্ছে দেড় থেকে দুই কিলো। বাড়িতে লোকজন এলে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেনা লস, এমনকি সেই ইলিশের পেটি বিশেষ বড় হয় না। তাই বাড়িতে অতিথি এলে বা বাড়ির সদস্য সংখ্যা বেশি থাকলে মোটামুটি বেশি ওজনের ইলিশ কিনতে হয়। এই আজকের দরদাম অনুযায়ী একটা দেড় থেকে দুই কিলো ওজনের ইলিশের দর হচ্ছে ২,২০০-২,৫০০ টাকা! পাশাপাশি, ৭০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ১,০০০-১২০০ টাকা কিলো দরে।
পদ্মার ইলিশ তো অনেক দূর। দূষণ ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে পদ্মার ইলিশের আকাল পড়েছে। যদিও বাংলাদেশের বাজারে চাঁদপুরের ইলিশ বেশি বিক্রি হয়, কারণ চাঁদপুরের ইলিশ খেতে টেস্ট। এর গায়ের রং হয় সাদা চকচকে এবং এর স্বাদ অতুলনীয়। উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশের ঘরে প্রায় ১৩২ টন ইলিশ ঢোকে। চলতি বছরে সেই পরিমাণ গিয়ে দাড়ায় ১৫৪ টন। যদিও, মৎস বিভাগের আধিকারকরা জানিয়েছে, মাছ ধরার ক্ষেত্রের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে নতুন করে শুরু হয়েছে মাছ ধরার প্রক্রিয়া। এবং এখনও পর্যন্ত ১৫৪ টন ইলিশ উঠেছে। আগামী দিনে আরো ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু, পশ্চিমবাংলার মানুষদের সাধ্যের মধ্যে নেই সেই ইলিশ।
বাংলাদেশে মোটামুটি এক কেজির একটি ইলিশের দাম ১৭০০-১৮০০ টাকা। ইলিশ দেড় কেজি ওজন হলেই তা প্রায় ৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সেই ইলিশ কলকাতায় প্রায় আকাশছোঁয়া। যারা হিলি বর্ডার দিয়ে চোরা পথে ইলিশ নিচ্ছেন তাদের কথা আলাদা, কিন্তু, কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ যথেষ্ট চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে আরও একটু ব্যাপার বলতে হয়,চলতি বছরে ১৫৪ টন ইলিশ বাংলাদেশে উঠলেও পদ্মার ইলিশের যেমন আকাল না পড়েছে তেমনই মেঘনাতে বেড়েছে দূষণ। এছাড়া সাগর থেকে মোহনা হয়ে নদীতে মাছ ঢোকার আগেই মাছ তুলে নিচ্ছে মৎস্যজীবীরা। এতে করে নদীর মাছ পাওয়াই যাচ্ছে না সেভাবে। তাহলে কি এপার বাংলার মানুষ ওপার বাংলার ইলিশ খাবে না?