Hilsa Fish: দুর্গাপুজোয় পাঠানো হবে না পদ্মার ইলিশ! বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার
এখন বাঙালির দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে শারদীয়া উৎসব। আর এক সপ্তাহ বাকি, তারপরেই বাংলায় শুরু হবে দুর্গাপূজা। বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসব বেশ জনপ্রিয় গোটা পৃথিবীতে। এই পুজোতে বাংলায় ইলিশের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। কারণ পুজোর দিনগুলি বাঙালি বাজেটের কথা ভাবেনা। তাই এই সময়টা কলকাতার বাজারে ইলিশের যোগান আসে বাংলাদেশ থেকে। গত কয়েকবছর ধরেই এমনটা ঘটে আসছে। তাই বাংলায় লোকাল ইলিশ বা বোম্বে ইলিশের যোগান কমলেই ঢুকতে শুরু করে পদ্মার ইলিশ। আর তাতেই পুজো কাটে বাঙালির।
তবে এবছর পুজোর আগেই এপার বাংলার বাজারে ঢুকেছিল বাংলাদেশী পদ্মার ইলিশ মাছ। গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেই পদ্মার ইলিশে ছেয়ে গিয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার বাজারে। তাতে আনন্দের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল কলকাতার ইলিশ প্রেমীদের মনে। তবে এবার পুজোর দোরগোড়ায় এল এক দুঃসংবাদ। কারণ পুজোতে হয়তো কলকাতায় মিলবে না পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ। কারণ এতদিন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয় বাংলাদেশ মৎস্য মন্ত্রক। এর মাঝে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ২২ দিন পদ্মা সহ একাধিক নকদিতে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। তাই পুজোয় ইলিশের যোগান আসছে না পুজোয়, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
আগামী ২ নভেম্বর অবধি জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। কিনরু কেন এই নিষেধাজ্ঞা? বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানি মন্ত্রক জানিয়েছে যে ২২ দিনে ৫২ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে লারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই ২২ দিন মৎস্যজীবীদের ভাতা দেবে বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। ১ কেজি ওজনের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দুর্গা পূজার আগে বাংলাকে ২,৯০০ টন ইলিশ উপহার দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ১,৩০০ টন ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তাই এবার বর্ষার ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিকারক সংস্থাকে সেই দেশের মৎস্যজীবীদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে ২০-৩০ দিনের সময়ের পরিবর্তে কমপক্ষে ৬০ দিনের পর্যাপ্ত সময় যাতে তাদের দেওয়া হয়।