Hilsa: ভাইফোঁটায় ফের পাতে বাংলাদেশের ইলিশ, কেমন টান পড়বে পকেটে?
দুর্গাপুজোর আগত থেকেই এপার বাংলায় বাংলাদেশের (Bangladesh) ইলিশ (Hilsa) আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ও দেশে টানা ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারেও দেখা দিয়েছিল আকাল। সব মাছের দামই বেড়েছিল চড়চড়িয়ে। তবে এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ফের নতুন উদ্যমে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন ওপার বাংলার মৎস্যজীবীরা। আর তাতেই আশা করা যাচ্ছে, ভাইফোঁটার আগেই কলকাতার বাজারে দেখা মিলতে চলেছে রূপোলি শষ্যের।
জানিয়ে রাখি, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে একটা নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে। এবারে ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল ওপার বাংলায়। এই নিয়ম কঠোর ভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশে। নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাই ২ রা নভেম্বর মধ্যরাত থেকেই নৌকা, ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন ওপারের মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছে, এ বছর ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।
জানা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে গিয়ে ভালো ইলিশ জালে উঠছে মৎস্যজীবীদের। ইলিশের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি আকারও বেড়েছে। পায়রা, বিষখালি, বালেশ্বর নদীর মোহনায় ৯০০ গ্রামের বেশি ওজনের প্রচুর ইলিশ মিলেছে। মাছের বাজারগুলিতেও ইলিশের জোগান প্রচুর। পাশাপাশি দামও কম হওয়ায় ক্রেতাদের মুখেও হাসি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মাছ ধরায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার আগে ৪ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ এপার বাংলায় পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মাত্র ২২ দিনই পাওয়া গিয়েছিল আমদানির। তাই সম্পূর্ণ পরিমাণ ইলিশ তখন এসে পৌঁছাতে পারেনি। এপারের মাছ ব্যবসায়ীদের আশা, বাকি ইলিশের পরিমাণটা এবারে এসে পৌঁছাবে বাংলাদেশ থেকে। এমনি আবেদন জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশ হাই কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে মাছ ব্যবসায়ীদের তরফে। আশা করা যাচ্ছে, কালীপুজো ভাইফোঁটার আগেই বাংলাদেশের ইলিশে ছেয়ে যাবে কলকাতার বাজার।