Neem Leaf For Hair Problem: চুলের যেকোন সমস্যা সমাধান করবে নিমপাতা, রইল সহজ সমাধান
অতি প্রাচীনকাল থেকে চুল ভালো রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে জবা ফুল এবং জবা, নিম পাতা। জবা ফুলের আর নিম পাতার একটি পেস্ট বানিয়ে আর এই পেস্ট যদি আপনি চুলের গোড়ায় গোড়ায় খুব ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার চুল হবে ভীষণ সুন্দর কুচকুচে কালো। শুধু এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে, আপনাকে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল।
ব্যাস, তাহলেই হয়ে যাবে কেল্লাফতে। এই পুরো মিশ্রণটিকে আপনি যদি বানিয়ে ফ্রিজে অন্তত দু – তিন দিন রেখে দিতে পারেন। তাহলে আর আপনাকে বারবার তৈরি করতে হবে না। এছাড়া নারকেল তেলের মধ্যেও আপনি কিন্তু নিমপাতার পেস্ট খুব ভালো করে গরম করে ছেঁকে নিয়ে রাখতে পারেন, তাহলেও কিন্তু আপনি এই একই উপকারিতা পাবেন। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
আপনি যদি আপনার ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার জন্য এই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান গুলিকে বেছে নিতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবনে আর কোনরকম কোন সমস্যা হবে না। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন খবরের চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভয়ংকর তথ্য। তাতে বলা হয়েছে নামিদামি অনেক শ্যাম্পুতে নাকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা অনেকখানি বেড়ে যাচ্ছে।
তাহলেই বুঝতে পারছেন, যে কোনো রকম ব্র্যান্ডেড কোম্পানির উপর ও আপনি ভরসা করতে পারবেন না। ভরসা শুধু করতে পারবেন প্রকৃতির ওপর। তাই কোনো রকম কেমিক্যাল এর উপর ভরসা না করে। তবে শুধুমাত্র জবাবটাই নয়, আপনি আপনার চুল ভালো রাখতে পারেন কারিপাতা, তুলসীপাতা, নিমপাতা বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। তবে আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় জবা পাতা দিয়ে কিভাবে আপনি আপনার চুল সুন্দর করবেন।
নিমপাতা পেস্ট এবং টক দই – নিমপাতার পেস্ট এর সঙ্গে টক দইকে খুব ভালো করে মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুদিন লাগাতে পারেন, দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে যাবে, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে এই অসাধারণ হোমমেড হেয়ার প্যাক।
নিম পাতা পেস্ট এবং কাঁচা ডিম – যাদের মাথায় ডিম লাগাতে কোন সমস্যা নেই, তারা এই হেয়ার প্যাকটি বাড়িতে অনায়াসে বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই অসাধারণ হেয়ার প্যাক। আপনি যদি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিতে পারেন, আর কিছুক্ষণ পরে ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন, মোটামুটি সপ্তাহে দুদিন করলেই দেখবেন চুল কতটা বদলে গেছে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।