বাংলা সিনেমার দর্শক তাঁকে ৫০ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত উপভোগ করেছেন। নাম কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাড়িতে তিনি পরিচিত ‘বেনু’ নামে আর আপামর দর্শকদের কাছে তিনি সুপ্রিয়া দেবী। আজও সুপ্রিয়া মানেই সেই চওড়া পাড়ের ঢাকাই শাড়ি, কপালে বড় সিঁদুরের টিপ, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, সোনায় মোড়া গা, বড় নাকছাবি, আঁচলে চাবির গোছা। বাংলা চলচিত্রে জগতে তাঁর যেমন সুনাম তেমনই দুর্নামকেও গায়ে মেখেছিলেন তিনি। এখনও কেউ কেউ তাকেই দ্বায়ী করেন উত্তম কুমার ও গৌরী দেবীর ভাঙ্গা সংসারের জন্যে।
উত্তম কুমার শেষ জীবনে তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবীকে ছেড়ে সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গেই থাকতেন। স্ত্রী গৌরী দেবীকে ডিভোর্স দেননি তিনি, কিন্তু সুপ্রিয়া দেবী তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ চৌধুরীকে বিয়ে করার কিছু বছর পর ডিভোর্স দিয়ে দেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে ছিলেন সোমা। চার বছর সংসার করার পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর ফের অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। পরিচয় হয় উত্তম কুমারের সঙ্গে। ভালোবেসে ফেলেন তিনি।
দারুন রান্না করতে পারতেন বেণুদি। আজও তাঁর রান্নার কদর হয় কিছু রান্নার অনুষ্ঠানে। এমনকি বেনুদির হাতের রান্নার একটা বইও আছে। চাইলে আপনিও কিনে সেই রেসিপি বাড়িতে ট্রাই করতে পারেন।
মহানায়ক উত্তম কুমার প্রথম এই বেনুদির হাতের রান্নার প্রেমে পড়েন এবং তাঁর হাতের তৈরি রান্না খেতে খুব পছন্দ করতেন। সুপ্রিয়া দেবীও উত্তম কুমারের জন্য জমিয়ে রান্না করতেন। নিরামিষ থেকে আমিষ সব একা হাতে সামলাতেন। আর সামলেছিলেন উত্তম কুমারের দুরন্ত প্রেম, দ্বিতীয় বিয়ে, সমাজের তিক্ততা আর অভিনয়।
বেনুদির হেঁশেলেরবিখ্যাত সব রান্নার নাম শুনলে আপনার জিভেও জল আসবে। কখনো তিনি রাঁধতেন মটন চাপ ফ্রাই, কাজু চিকেন, ভাপা কাঁকড়া গার্লিক ব্রেড ও পালং পনির কোপ্তা, মুরগি আর স্যুপ থেকে শুরু করে একের পর এক লোভনীয় খাবার।
https://www.youtube.com/watch?app=desktop&v=wjPr8fVF2wc&ab_channel=ZeeBangla