Lifestyle: ভেজাল ঘি চেনার উপায় জেনে নিন
আপনি কি ঘি খেতে ভালোবাসেন? গরম ভাতে এক চামচ ঘি আলু ভাতে ডিম সেদ্ধ দিয়ে খেতে কার না ভালো লাগে! কিংবা যদি এই বর্ষাকালে খিচুড়ি রান্না করেন? তাহলে একটু খানি ঘি দিয়ে খেলেও কিন্তু খিচুড়ি একেবারে জমে যাবে, কিন্তু গরম ভাতের বা গরম খিচুড়িতে যদি কোনো কারণে ভেজাল ঘি পড়ে যায়, তাহলে তো আপনার আর কোন কিছুই হবে না, মানে মুখের স্বাদ ভালো লাগবে না। খাঁটি দেশি ঘির আসল রং হলদেটে বা সোনালি। ঘি এর দানাদার অংশ যা নীচে স্থির থাকে তা উপরের দিকে ভেসে থাকা ঘি এর তরল সোনালী অংশের চেয়ে সাদা। বাজার থেকে কেনা ঘি দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে সুগন্ধি ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এর রঙ দেখে ঘি এর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
পেটের গন্ডগোল হতে পারে, আর ভেজাল ঘি যদি দীর্ঘদিন খেতে থাকেন। তাহলে লিভারের একেবারে বারোটা বেজে যাবে, তাই কেনার আগে একবার দেখে নিন আপনি কিভাবে ঘি চিনতে পারবেন। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –
১) হাতের তালুর উপরে এক চামচ ঘি দিয়ে যদি দেখেন ঘি গড়িয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে, তাহলে বুঝবেন ঘি ঠিক থাকে।
২) বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল ঘি একটি প্যানে গলান। মাঝারি আঁচে একটি প্যান বসিয়ে কিছুক্ষণ গরম হতে দিন, এবার এতে এক চা চামচ ঘি দিন। যদি ঘি অবিলম্বে গলে যায় এবং গাঢ় বাদামী রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি এটি গলে যেতে সময় নেয় এবং হালকা হলুদ রঙে পরিণত হয় তবে এটি ভেজাল।
৩) একটি গরম জলের পাত্রের মধ্যে ঘি এর বয়াম ডুবিয়ে দিন। ঘি গলে গেলে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। যদি দেখেন ঘি এর বয়ামে একই রঙের জমাট বাঁধা ঘি আছে, তবে বুঝবেন সেটা খাঁটি। ঘি এ অন্যান্য উপাদান মেশানো থাকলে আলাদা আলাদা রঙের আলাদা স্তর থাকবে।
৪) শুধু একটি কাঁচের বাটিতে কিছু ঘি যোগ করুন এবং ডাবল-বয়লার পদ্ধতি ব্যবহার করে গলিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে রেখে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর নারকেল তেল ও ঘি আলাদা আলাদা স্তরে শক্ত হয়ে গেলে নারকেল তেলের সঙ্গে তাহলে ঘি ভেজাল। না হলে ঘি খাঁটি।