Skin Care: ছানার জল ফেলে দেবেন না, পুজোর আগে এই জল মেখেই হয়ে যান দুধের মতো ফর্সা
ছানার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন। যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না বা দুধ সহ্য হয় না, তাদের হাড়ের জোর বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ছানা খেতে পারেন। এছাড়া ছোট শিশুদেরও ছানা দেওয়া যায় বা বৃদ্ধদের ছানা দেওয়া যায়, মহিলারা অপরিমান মতন প্রতিদিন ছানা খেতে পারেন। বাড়িতে ছানা কাটানোর পর ছানার জল কখনো ফেলে দেবেন না, সামনেই পুজো আসছে, নিজেকে যদি সুন্দর করতে চান, তাহলে জানার জল ব্যবহার করতে পারেন।
ছানার জলকে রূপচর্চার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এতে গাছে অনেক ভালো সার হয়। চলুন দেখে নিন আজকে কিভাবে ছানার জল থেকে আপনি তিনটে ফেসপ্যাক বানাতে পারবেন। এই ফেস প্যাকগুলি যদি আপনি একদিন অন্তর একদিন নিয়মিত লাগাতে পারেন, তাহলেই দেখবেন আপনার ত্বক কি রকম দুধের মত ফর্সা হয়ে যাবে।
১) ছানার জল, লেবুর রস- ছানার জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো পাতিলেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি তুলে করে মুখে, ঘাড়ে, পিঠে বেশ খানিকক্ষণ অন্তত আধঘণ্টার মতন রেখে ধুয়ে ফেলুন। যাদের হাইপার পিগমেন্টেশন এর অসুবিধা আছে, তারা কিন্তু এটি সহজেই করতে পারেন।
২) ছানার জল, আলুর পেস্ট, টমেটোর রস- ছানার জলের সঙ্গে আলুর পেস্ট, টমেটোর রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এই মিশ্রণটি তুলে করে মুখে, ঘাড়ে, পিঠে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তাহলেই দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার এবং ঝকঝকে হয়ে যাবে।
৩) ছানার জল, টক দই, বেসন – এই তিনটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এটি ফেসপ্যাক হিসেবে স্নানের আগে লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক একেবারে সুন্দর হয়ে যাবে, বিশেষ করে যাদের ত্বকের উপরে মরা চামড়া থাকে, তারা খুব সহজেই এটি দিয়ে গোটা ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।