Lifestyle: এইভাবে কখনোই জ্বালানো উচিত নয় কর্পূর, অমঙ্গলের শেষ থাকবে না সংসারে
অনেকের বাড়িতেই পুজোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে রাখা হয় কর্পূর (Camphor)। পবিত্র হিসেবে মানা হয় এই সুগন্ধি দাহ্য পদার্থকে। এছাড়াও আরো অনেক ব্যবহার এবং উপকারিতা রয়েছে কর্পূরের। তবে বাস্তু শাস্ত্রে (Vastu) কর্পূর সংক্রান্ত অনেক বিধিনিষেধও দেওয়া রয়েছে, যেগুলি মেনে না চললে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। নির্ঝঞ্ঝাট জীবনে নেমে আসতে পারে অশান্তির ছায়া। কী কী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কর্পূর নিয়ে, জানতে হলে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন।
হিন্দু ধর্মে কর্পূরকে অত্যন্ত শুভ মানা হয়। বলা হয়, কর্পূর গৃহস্থ বাড়িতে ইতিবাচক শক্তিকে নিয়ে আসে। তবে কর্পূর জ্বালানোর সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। বলা হয়েছে, ঠিক ব্রাহ্ম মুহূর্তে কর্পূর জ্বালানো উচিৎ। বিশেষজ্ঞরা এই সময়টিকেই সবথেকে শুভ বলে মানেন। বাস্তুবিদদের মতে, প্রতিদিন সকালে যদি কর্পূর জ্বালিয়ে বাড়ির প্রবেশ দ্বারের সম্মুখে রেখে আসা যায় তাহলে সুফল ফলতে বেশি সময় লাগবে না।
বাস্তুবিদদের মতে, সন্ধ্যায় পুজোর আরতির সময়ে কর্পূর জ্বালালে তা সংসারের পক্ষে মঙ্গলজনক বলে মানা হয়। তবে সকালে পুজোর সময়ে কর্পূর জ্বালাতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তার বদলে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকালে পুজোর সময়ে।
বাস্তু শাস্ত্রে এও বলা হয়েছে, পুজোর সময়ে মাটির পাত্রে কর্পূর জ্বালানো উচিত নয়। এতে অশুভ শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়। সবসময় গৃহস্থ বাড়িতে পিতলের প্রদীপ দানিতে কর্পূর জ্বালানো উচিত। পুজোর সময়ে পিতলের পাত্র বা প্রদীপে কর্পূর রেখে জ্বালালে পরিবারে সুখ শান্তির প্রবেশ ঘটে। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের এক কোণায় কর্পূর রেখে দিতে পারেন। তবে সেটা জ্বালাবেন না। এই টোটকা মেনে চললে ব্যাঘাত হীন সুন্দর ঘুম নেমে আসবে চোখে।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।