শীতকালে রাত্রিবেলা কচুরি কিংবা লুচি, পরোটার সঙ্গে গরম গরম বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ আলুর দম। এক নাগাড়ে ফুলকপির তরকারি না করে, এই আলুর দমটা কিন্তু ভীষণ জমে যাবে। এছাড়া বানিয়ে ফেলতে পারেন স্টাফট পটেটো। এটিও কিন্তু বেশ ভালো খেতে হয়। যখন যেমন সুবিধা হবে তেমনটা বানিয়ে নিলেই হবে।
প্রতিদিন এক খাবার খেতে আমাদের একেবারেই ভাল লাগে না। ফ্রিজে ধরুন আর কিছু নেই, বাড়িতে থাকা কয়েকটা আলু দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ রেসিপি, রেসিপিটি যদি একবার খান, তাহলে দেখবেন আপনার মুখের স্বাদ বদলে যাবে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন অসাধারণ এই রেসিপি –
উপকরণ –
ছোট আলু এক কিলো
আদা বাটা তিন টেবিল চামচ
টমেটো বাটা চার টেবিল চামচ
চারমগজ বাটা দুই টেবিল চামচ
পোস্ত বাটা এক টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া এক চা-চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদমতো
গোটা জিরে এক টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা স্বাদমতো
জিরে গুঁড়ো এক চা চামচ
ধনে গুঁড়ো এক চা চামচ
ধনেপাতা একমুঠো
সরষের তেল পাঁচ টেবিল চামচ
টক দই ৪ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো এক টেবিল চামচ
গরম মশলা সামান্য
প্রণালী – কড়াইতে সরষের তেল গরম করে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা দিয়ে তার মধ্যে একে একে আদা বাটা, টমেটো বাটা, চারমগজ বাটা, পোস্ত বাটা, টক দই, নুন, মিষ্টি দিয়ে ভালো করে মাখা মাখা করে এর মধ্যে সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে নাড়াচাড়া করে মশলা কষা হয়ে গেলে, এর মধ্যে ছোট ছোট করে কেটে রাখা আলু টুকরো দিয়ে তারপরে সামান্য গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা খুলে আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে মশলা ও বেশ মাখোমাখো হয়ে গেলে ওপরে কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ছড়িয়ে আবারো বেশ খানিকক্ষণ স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে, সামান্য গরম মশলা ও ধনেপাতা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘কাশ্মীরি আলুর দম’।
এছাড়াও আলু সিদ্ধর পরে ভেতর থেকে খুব ভালো করে চামচের সাহায্যে আলু বার করে নিয়ে তার ভেতরে মশলার পুর ভরেও কিন্তু এইভাবে আলুর দম বানাতে পারেন। তাই এবার বাড়িতে যদি অতিথি আপ্যায়ন করতে হয়, তাহলে আর ফুলকপি নয়, আলুর দমের এই বিশেষ রেসিপিটি একবার করে দেখুন।
