Hilsa Fish: পুকুরের জল থেকে উঠে এল ১০০ জ্যান্ত ইলিশ! যে ঘটনার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই
গোটা বিশ্বে বাঙালির পরিচয় দেওয়া হয় মাছ দিয়ে। মাছ সবথেকে বেশি যদি কোথাও জনপ্রিয় হয়ে থাকে, তা হল বাংলায়। ভারত ও বাংলাদেশ- উভয় দেশের মানুষজন মাছ খেতে ভীষণই পছন্দ করেন। তবে মাছের মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু হল ইলিশ (Hilsa)। ইলিশ মাছের নামেই তো অনেকের জিভে জল এসে যায়। কারণ, সর্ষে ইলিশ হোক বা ইলিশ ভাবা কিংবা ভাজা ইলিশ- এই মাছ দিয়ে আপনি পছন্দ মতো যেকোনও পদ বানিয়ে ফেললেই খাবার থালায় এক দানা ভাতও পড়ে থাকবে না।
মূলত বর্ষায় প্রজননের সময় এই ইলিশ সমুদ্রের খর জল থেকে নদীর মৃদু জলে এসে প্রবেশ করে। মা ইলিশ নদীর জলে ডিম পাড়ে। তাই এই সময়েই ইলিশের আমদানি ঘটে বাংলার নদীগুলির মোহনায়। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ স্বাদ ও গন্ধের জন্য জগতবিখ্যাত। তবে পদ্মা ছাড়াও অনেক নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়। এপার বাংলাতেও পাওয়া যায় এই সুস্বাদু মাছ। কিন্তু নদী ছেড়ে এবার পুকুরেও মিলল ইলিশ। একটি বা দুটি নয়, কমপক্ষে ৯৫ টি ইলিশ মাছ ধরা হলো এক্কেবারে জ্যান্ত অবস্থায়। বিজ্ঞানের কথায় যেটি এক্কেবারে অসম্ভব।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুরের একটি বড় পুকুরে ধরা পড়েছে ওই জ্যান্ত ইলিশগুলি। ওই মাছগুলির ওজন ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ওই পুকুরে জাল ফেলতে প্রথমে জালে উঠে আসে ১১টি ইলিশ। সবকটি ছিল জ্যান্ত। ইলিশ দেখে এককথায় সবাই অবাক হয়ে যান। ফের জাল ফেলা হয় ওই পুকুরে। কয়েকবার জাল ফেলার পরে মোট ৯৫টি ইলিশ পাওয়া যায় পুকুর থেকে। আর এই ঘটনায় সকলেই হতবাক। কারণ পুকুরে ইলিশ বেড়ে ওঠা কার্যত অসম্ভব বিষয়।
কিন্তু এই পুকুরে কিভাবে মিলল এত পরিমান ইলিশ। এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা খুঁজতে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের বরগুনা জেলার মৎস্য আধিকারিক বিশ্বজিৎ কুমার দেবকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। আমার ধারণা নদী থেকে হয়ত ঝাটকা ইলিশগুলি সাগরে ফেরার পথে কোথাও বাধা পেয়ে ছোট খাল বা জোয়ারের জলে ভেসে এসে এই পুকুরে ঢুকেছিল। একটি মাছ পাওয়া গেলেও এটা নিয়ে গবেষণা করা যেত।’