নারীত্বের অন্যতম অঙ্গ হল মাতৃত্ব। একবিংশ শতকে এসেও নারী নিজেই প্রাধান্য দেন মাতৃত্বকে। ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar) পর্দায় একাধিক বার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাঁর সন্তান নেই। ইন্দ্রাণী এর আগে একাধিকবার তা নিয়ে আফশোস করেছেন। বাদ যায়নি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) সঞ্চালিত টক শো ‘অপুর সংসার’। সেখানেও ইন্দ্রাণীর গলায় শোনা গেল একই সুর।
‘অপুর সংসার’-এ এসে ইন্দ্রাণী সরাসরি নিজের আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শাশ্বতর সামনে। তিনি বলেন, তাঁর জীবনের আক্ষেপ, তিনি তাঁর স্বামী ভাস্কর (Bhashkar Roy)-কে বাবা হওয়ার সুখ দিতে পারলেন না। সারা জীবন কাজের পিছনে ছুটেছেন ইন্দ্রাণী। যাত্রা শুরু হয়েছিল দূরদর্শনের বিখ্যাত ধারাবাহিক ‘তেরো পার্বণ’ থেকে। এরপর একাধিক ধারাবাহিক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী। শুধুমাত্র টলিউডেই নয়, হিন্দি টেলিভিশনেও কাজ করেছেন তিনি। একাধিক বাংলা ফিল্মেও দেখা গিয়েছে ইন্দ্রাণীকে। একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও ইন্দ্রাণী মনে করেন, সারা জীবন ধরে কাজের পিছনে ছুটতে গিয়ে তিনি মা হতে পারেননি। সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবেননি। তবে তা শুধুমাত্র তাঁর নয়, ভাস্করেরও আক্ষেপ। ভাস্করের মতে, ইন্দ্রাণী সারাজীবন অন্যদের কথাই ভেবে গিয়েছেন।
তবে ইন্দ্রাণী ও ভাস্কর সন্তানের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বয়স অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার ফলে তা সম্ভব হয়নি। ইন্দ্রাণী দত্তক নিতে চাইলেও ভাস্করের অমত ছিল। ফলে মা হতে পারলেন না ইন্দ্রাণী। সারাজীবন নিজের এই অক্ষমতার জন্য ক্ষোভ রয়ে যাবে তাঁর।
দুই বছর ধরে টিআরপির শীর্ষে ছিল ইন্দ্রাণী অভিনীত ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’। গত বছর মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রাণী অভিনীত ফিল্ম ‘কুলের আচার’। এই ফিল্মে মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)-এর শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।