Bengali SerialHoop Plus

Indrani Halder: রবীন্দ্রসঙ্গীত বলে ‘ধন ধান্য’ গেয়ে ট্রোলড হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ‘শ্রীময়ী’ ইন্দ্রাণী

কয়েক বছর আগে বেসুরো গান গেয়ে রীতিমত ট্রোলড হয়েছিলেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। এর মধ্যেই পয়লা জানুয়ারি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন বলে দ্বিজেন্দ্রগীতি গাইলেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder)। এরপর থেকেই উত্তাল নেটদুনিয়া। রীতিমত ট্রোল হতে হচ্ছে ইন্দ্রাণীকেও। এবার প্রকৃত ঘটনাটি জানালেন ইন্দ্রাণী নিজেই।

এদিন ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, যথেষ্ট কায়দা করে ট্রোল করা হয়েছে। তাঁর মতে, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার জন্য অঢেল সময় পেয়ে বাড়িতে বসে এডিট করে এই ধরনের ভিডিও বানিয়েছে। ইন্দ্রাণী জানান, পয়লা জানুয়ারি তিনি একটি শোয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে রঞ্জনবাবু নামে এক ব্যক্তি তাঁকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর ইন্দ্রাণী তাঁকে স্টেজে ডেকে বলেন, তিনি এত ভালো গাইতে পারবেন না। তাই রঞ্জনবাবুকে ইন্দ্রাণী অনুরোধ করেন এক লাইন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি বলেন, এরপরেই তিনি গাইবেন।

সেই সময় রঞ্জন বলেন, তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত জানেন না। ইন্দ্রাণী বলেন,তিনি না গাইলে ইন্দ্রাণীও গাইবেন না। এরপর ইন্দ্রাণী একটি কমন গান করার প্রস্তাব দেন যেটি ইন্দ্রাণী ও রঞ্জন উভয়েই জানেন। এরপর তাঁরা ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’ গানটি গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইন্দ্রাণীর সঙ্গে রঞ্জন গলা মেলান। গান শেষ হলে রঞ্জন স্টেজ থেকে নেমে চলে যান। এরপর ইন্দ্রাণী একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এডিটের কারসাজিতে দেখানো হয়, রঞ্জনের কথায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন বলে ‘ধন ধান্য’ গাইছেন ইন্দ্রাণী। ফলে এই ভিডিওটি ভাইরাল হলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, তিনি আলিপুর মাল্টিপারপাসের বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রী। ফলে তাঁকে এভাবে অপমান করার চেষ্টা করে লাভ নেই। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, কোনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও কোনটি দ্বিজেন্দ্রগীতি। ইন্দ্রাণী বলেছেন, এই অপমানে তাঁর কিছু এসে যায় না। তিনি আবারও অনুষ্ঠানে গিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন তা বেসুরো হোক অথবা ভুল হোক। কারণ তিনি লতা মঙ্গেশকর বা আশা ভোঁসলের মতো কিংবদন্তী গায়িকা নন। তাই তিনি তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। তাঁর গান তাঁর অনুরাগীরা ভালো লাগলে শুনবেন, না লাগলে শুনবেন না। এর আগেও একটি মাচা শোয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ‘বেসুরো’ বলে ট্রোল হয়েছিলেন ইন্দ্রাণী।