Bengali SerialHoop Plus

Dhulokona: কেন এতবার ছাড়াছাড়ি! লালন-ফুলঝুরির বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ইন্দ্রাশিস-মানালি

বর্তমানে বেঙ্গল টপার ‘ধুলোকণা’-য় দেখানো হচ্ছে লালন ও ফুলঝুরির বিচ্ছেদের পর্ব। অনেকেই বারবার লালনের বিয়ে, লালন-ফুলঝুরির বিচ্ছেদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকি অনেকে লালন চরিত্রটিকে বলেছেন চরিত্রহীন। কারণ লালন, তিতির ও ফুলঝুরি উভয়ের জন্যই দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ‘লালন’ ইন্দ্রাশিস (Indrashish Roy) ও ‘ফুলঝুরি’ মানালি (Manali Dey)।

ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘ধুলোকণা’-র সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর অনেকদিন হতে চলল। এই কারণে লালন ও ফুলঝুরির বিচ্ছেদের জল্পনার মাধ্যমে কাহিনীতে একটি নতুন মোড় আনার কথা ভাবা হয়েছে। নাহলে দর্শকদের এই সিরিয়াল একঘেয়ে লাগতে পারে। ইন্দ্রাশিস মনে করেন, এই বদল খুব জরুরী ছিল। কারণ অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। ইন্দ্রাশিসকে সমর্থন করলেন মানালিও। তাঁদের মতে, এই কারণেই প্রোমো নিয়েও তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। মানালি মনে করেন, ভালোবাসা থাকলে অভিমান থাকবেই। তবে বর্তমানে লালন ও ফুলঝুরির অভিমান চলে গিয়েছে চরম পর্যায়ে।

তবে লালন-ফুলঝুরির বিচ্ছেদ আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাইলেন না। অফ স্ক্রিনও ইন্দ্রাশিস ও মানালি যথেষ্ট ভালো বন্ধু। ইন্দ্রাশিস জানালেন, শুটিংয়ের বাইরে পুরো ‘ধুলোকণা’ টিম মিলে প্রচুর আড্ডা হয়। স্টুডিওর বাইরেও তাঁরা দেখা করেন, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়। একবার শঙ্কর চক্রবর্তী (Shankar Chakraborty) নিজে উদ্যোগ নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেখানে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee)-ও উপস্থিত ছিলেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, টিম ‘ধুলোকণা’-র মধ্যে প্রভাব পড়েনি জেনারেশন গ্যাপের।

14 ই নভেম্বর থেকে গোটা সপ্তাহ জুড়ে চলবে ‘ধুলোকণা’-র মহা এপিসোড। মানালি ও ইন্দ্রাশিসের অনুরোধ, দর্শকরা যেন এভাবেই তাঁদের পাশে থাকেন। কারণ তাঁরা দুজনেই জানেন, লালন ও ফুলঝুরি আসলে দর্শকদের ঘরের ছেলে-মেয়ে।