Investment Strategy: এইভাবে বিনিয়োগ করলেই হাতে আসবে ১ কোটি টাকা, জেনে নিন উপায়
কর্মজীবনে আমরা সকলেই রোজগার করি। কেউ সরকারি চাকরি করে রোজগার করি, আবার কেউ ব্যবসা বা বেসরকারি চাকরি করি। আর কষ্টার্জিত সেই রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে সকলেই চায়। হাতখরচ বা সংসার খরচ থেকে কিছুটা টাকা সরিয়ে তা পরবর্তীতে দরকারের সময় এই টাকাই বেরোয়। টিসি তজগারের পাশাপাশি সঞ্চয় কিন্তু জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখন বিশেষজ্ঞরা সব স্তরের মানুষদেই সঞ্চয়ের বিষয়ে অবগত করছেন।
উল্লেখ্য, রোজগারকৃত টাকা বাড়িতে ফেলে রাখলে তা কিন্তু সুদে বাড়বে না। বরং সেইসব টাকা কোনো স্কিম বা প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হতে পারে। কারণ সেখানে টাকার সুরক্ষা পাওয়া যায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি বিনিয়োগের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো, যার মাধ্যমে একজন চাকুরিজীবী তার কর্মজীবন চালিয়েও কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন।
অর্থ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো চাকুরিজীবী বা এমন কোনো ব্যক্তি, যার একটি নির্দিষ্ট মাসিক রোজগার রয়েছে, তাদের বিনিয়োগের জন্য একটি পরিকল্পনা করা উচিত। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে একজন ব্যক্তির কমপক্ষে ১.৮ লক্ষ টাকার এমার্জেন্সি ফান্ড হাতের কাছে রাখতে হবে। কারণ আকস্মিক রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে যাতে ৬ মাস সংসার খরচ চলে যায় তার ভাবনা আগে করা উচিত। এর জন্য মানি মার্কেটের মতো লিকুইড ফান্ডে এই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলে লাভ পাওয়া যায়।
এরপর আসে বাড়ি ও গাড়ি কেনার চিন্তা। এর জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে মোটামুটি সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত ইক্যুইটি ফান্ড কিংবা হাইব্রিড ফান্ডে। এবার বাড়ি করার জন্যও একইভাবে আলাদা আলাদা টাকা জমা রাখা উচিত। বাড়ির জন্য কমপক্ষে ৬০ লক্ষ টাকা জমানো উচিত। এর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার জন্য দরকার ৪০ লক্ষ টাকা। এর জন্য ইক্যুইটি ফান্ডে টাকা জমাতে হবে। এছাড়াও অবসর জীবনের জন্য ২০ লক্ষ টাকার পেনশন পেতে কর্মজীবন থেকেই টাকা জমানো উচিত।