তৃপ্তি করে চেবাচ্ছেন মুরগির ঠ্যাং, অজান্তেই নিজের বড় ক্ষতি করছেন না তো!
যারা আমিষ ভোজী তাদের মধ্যে অনেকেরই মাংস (Meat) বিশেষ প্রিয়। কেউ পছন্দ করেন চিকেন, কারোর আবার ছুটির দিনে পাতে খাসির মাংস চাই-ই চাই। মুরগির মাংস রান্না হলে ভোজন প্রেমীরা তৃপ্তি করে তো খানই, অনেকে মাংসর সঙ্গে সঙ্গে হাড় (Meat Bone) খেতেও বেশ পছন্দ করেন। খাসির মাংসের শক্ত হাড় চিবোনো একটু কঠিন হয় বটে, তবে মুরগির মাংসের নরম হাড় (Chicken Bone) চিবিয়ে খেয়ে আলাদাই সুখ পান অনেকে। কিন্তু মাংসের হাড় চিবিয়ে খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? চিকিৎসকরা কী বলছেন এ বিষয়ে?
যারা মাংসের হাড় চিবোতে ভালোবাসেন তাদের জন্য রইল খারাপ খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংসের হাড় চিবিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। এর একাধিক কারণও রয়েছে। আসলে চিকেন হোক বা মাটন, মাংসের হাড় কমবেশি শক্তই হয়। আর তা দাঁত দিয়ে কামড়ানোর সময় দাঁতে চাপ পড়ে। চিবিয়ে খাওয়ার সময়ে দাঁতের ফাঁকেও ঢুকে যেতে পারে হাড়ের টুকরো। সেটা ঠিক সময়ে বের না করলে তা থেকে দাঁতের বড় সমস্যাও হতে পারে।
চিকেনের হাড় তুলনামূলক নরম বলে তা চিবিয়ে খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। কিন্তু হাড় চিবোতে গিয়ে যদি যদি গলায় আটকে যায় তাহলে কেলেঙ্কারি হবে। হাড়ের টুকরো শ্বাসনালীতে আটকে দমবন্ধ হয়ে যেতে পারে। খাদ্যনালী বা অন্ত্রেও আটকে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিতান্ত হাড় চিবোতে হলে চিকেনের ছোট হাড় খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বড় হাড় চিবোতে গেলে মুখের মধ্যে কেটে যেতে পারে।
এমনকি মুরগির হাড়ের মধ্যে থাকা মজ্জাও খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অংশও না খাওয়াই বরং ভালো। মাংসের হাড় চিবোনোর ক্ষেত্রে বড়রা যদিও বা ছাড় পান, ছোটদের হাড় ছাড়া মাংসই দেওয়া উচিত। আর যদি হাড়সহ মুরগিই হয় তাহলে হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে দেওয়া ভালো।