এখনও অবধি সমাজ মনে করে, সমকামিতা একটি অসুখ। বহু সমকামী মহিলা ও পুরুষকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়। এই প্রসঙ্গে এক অষ্টাদশী তরুণীর কথা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। তিনি সমকামি ছিলেন। কিন্তু তাঁকে ‘সঠিক পথ’-এ নিয়ে আসতে তাঁর নিজের দাদারা লাগাতার ধর্ষণ করেন। নৃশংস অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মারা গিয়েছিলেন ওই তরুণী। পুলিশ তদন্ত করলেও তরুণীর পরিবার ছিল প্রভাবশালী। ফলে কেসটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ইদানিং ওটিটিতে প্রায়ই সমকামিতা নিয়ে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ স্ট্রিমিং হয়। ‘হ্যালো রিমেম্বার মি’ এইরকম একটি ওয়েব সিরিজ যাতে মালিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঈশা সাহা (Isha Saha)।
সমকামিতা প্রসঙ্গে ঈশা বললেন, বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সমকামিতা ঘিরে কোনো ছুঁতমার্গ না থাকলেও তিনি চান, বিরূপ মন্তব্য বন্ধ হোক। ঈশা জানালেন, মালিনী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসার পাশাপাশি দর্শকদের কাছ থেকে বহু মেসেজ পেয়েছেন তিনি। এই ধরনের চরিত্র করার জন্য তাঁকে অনেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মালিনী চরিত্রটি ঈশার কাছে যথেষ্ট বাস্তব।
View this post on Instagram
তবে মালিনী তাঁর কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ চরিত্রটি অন্তঃসত্ত্বা। ফলে ঈশা চেষ্টা করেছেন, এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সুবিধা-অসুবিধাগুলি ফুটিয়ে তোলার। মালিনীর অতীত তাকে সবসময় তাড়া করে। অতীতের কারণেই কখনও সে নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে। এই কারণে মালিনী চরিত্রটি ঈশার যথেষ্ট ভালো লেগেছে। এর আগে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেননি তিনি।
তবে এটাও কিন্তু মনে রাখা উচিত হিন্দি ফিল্ম ‘ফায়ার’-এর মাধ্যমে ভারতবর্ষে সমকামিতা কন্টেন্ট হিসাবে পথ চলা শুরু করে। ঈশা তো বলছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি সমকামিতা নিয়ে ছুঁতমার্গ নেই। তাহলে সমকামি চরিত্রে কেন সমকামি পুরুষ ও মহিলাদের নেওয়া হয় না?
View this post on Instagram