মুম্বইয়ের মুখার্জী পরিবারের দুর্গাপুজো যথেষ্ট ঐতিহ্যবাহী। মুখার্জী পরিবারের সদস্যরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন অংশে বসবাস করেন এবং প্রত্যেকেই যথেষ্ট খ্যাতনামা। কাজল (Kajol) ও রানী মুখার্জী (Rani Mukherjee) এই পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুখার্জী পরিবারের দুর্গাপুজোয় প্রতি বছর তাঁরা অংশ নেন। এই বছর কাজল দুর্গাপুজোর মন্ডপে এসে কাকাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে, মুখার্জী পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে এখন মাত্র কয়েকজন জীবিত রয়েছেন। করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ দুই বছর পরে মূল পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন কাজল। স্বাভাবিকভাবেই তিনি কেঁদে ফেলেন। কাকারাই তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিতে থাকেন। লাল রঙের শাড়ি ও স্লিভলেস ব্লাউজ এবং হাতে সবুজ চুড়ি পরে কাজলকে অনন্যা লাগছিল। দুর্গাপুজোর মন্ডপে তিনি কোনোভাবেই সেলিব্রিটি নন, তিনি শুধুই বাড়ির মেয়ে। তবে রানী এই বছরের দুর্গাপুজো মিস করে গেছেন। আপকামিং ফিল্মের শুটিংয়ের কারণে আপাতত কন্যাসন্তান আদিরা (Adira)-র সঙ্গে নরওয়েতে রয়েছেন তিনি। তবে আরতির সময় ভার্চুয়ালি তিনি অংশগ্রহণ করবেন কিনা তা জানা যায়নি।
গত বছর করোনা আবহে মুখার্জী পরিবারের দুর্গাপুজোর আয়োজন খুব ছোট করে বাড়ির মধ্যেই হয়েছিল। বয়স্ক ও শিশুদের উৎসবে যোগ দিতে বারণ করা হয়েছিল তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। তবে এই বছর তুলনামূলক ভাবে বড় করেই আয়োজন হয়েছে। কাজলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে নায়েশা (Nayesha), মা তনুজা (Tanuja) ও বোন তানিশা (Tanisha Mukherjee)-ও উপস্থিত হন পুজোয়। এছাড়াও বিভিন্ন তারকারাও এই পুজোর নিমন্ত্রণ পান। মুখার্জী পরিবারের আরও এক কন্যা শর্বাণী মুখার্জী (Sharbani Mukherjee)-কেও পুজোর যোগাড় দিতে দেখা যায়।
মুখার্জী পরিবারের ভোগ বিতরণের মূল বৈশিষ্ট্য হল বাড়ির মেয়েদের সহযোগিতা। পরিবারের মেয়েদের নিজেদের হাতে সকলকে ভোগ পরিবেশন বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম থেকে বাদ যান না রানী ও কাজলও। তাঁরাও সবাইকে ভোগ পরিবেশন করেন। অত্যন্ত সাধারণ ভোগ পরিবেশন করা হয়। মেনুতে থাকে খিচুড়ি, লাবড়া , চাটনি, মিষ্টি। মুখার্জী পরিবারের দুর্গাপুজোর প্রারম্ভের সময় থেকেই একই মেনু চলে আসছে বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কাজল। অত্যন্ত প্রাচীন এই দুর্গাপুজো শুধুমাত্র উৎসব নয়, পরিবারের সকল সদস্যদের মিলনক্ষেত্র।