Recipe: গরম গরম ভাতের সঙ্গে চটপট বানিয়ে ফেলুন কলমি চিংড়ির বড়া, শিখে নিন রেসিপি
পুকুর পাড়ে অবহেলাতে হয় এই অসাধারণ শাক, যার নাম কলমি, কিন্তু আপনি কি জানেন এই কলমি শাক খাবার কত উপকারিতা হয়েছে। আগেকার দিনে মা ঠাকুমারা যখন গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াতেন তখন এই পুকুর থেকে কলমি শাক তুলে এনে রান্না করে বাড়ির লোকেদের খাওয়াতেন। তবে বর্তমানে হাল ফ্যাশনের যুগে এসব খাবার চল চলে গেছে।
তবে যারা খেতে ভালোবাসেন তারা কিন্তু ও নিজেদের বাগানেও কলমি শাক চাষ করে খান কলমি শাক শুধু যে জলে হয়, তা নয় মাটিতেও হয়। ইচ্ছা করলে বাজার থেকে কিনে আনা শাক মাটিতে পুঁতে চাষ করতে পারেন। খুব একটা যত্ন করার প্রয়োজন হয় না। রান্নার আগে কিচেন গার্ডেন থেকে তুলে নিলেই হয়ে যাবে ফ্রেশ কলমি শাক।
কলমি শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, অকালবার্ধক্য আসতে দেয় না, এছাড়া রোগ-বালাই কে দূরে রাখে। কিন্তু আজকে আমাদের রেসিপি গরম গরম ডালের সঙ্গে কলমি চিংড়ির বড়া খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো হয়, মাছ মাংসকে হার মানিয়ে দেবে।
উপকরণের জন্য প্রথমেই আপনাকে নিতে হবে দুআঁটি কলমি শাক। এছাড়া দিতে হবে কুচো চিংড়ি আড়াইশো গ্রাম। চালের গুঁড়ো এক কাপ, নুন মিষ্টি স্বাদ মতো, হলুদ গুড়ো প্রয়োজন মত, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা তিন টেবিল চামচ, কাঁচা লংকা বাটা স্বাদমতো। পরিমাণ মতন সরষের তেল।
প্রথমেই ভালো করে চিংড়ি আর কলমি শাককে ধুয়ে নিতে হবে শাকের মধ্যে কিন্তু অনেক নোংরা থাকে যা পেটে গেলে পেট খারাপ হতে পারে। একটি পাত্রের মধ্যে খুব ভালো করে কুচি কুচি করে কেটে দেখার শাক কুচো চিংড়ি এবং উপরে বলার সমস্ত উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিতে হবে, এরপর ওই গরম হওয়া একটু তেল ওই পাত্রের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে, এর কারণ হলো তাহলে বড়া গুলো খুব মুচমুচে হবে। এরপর তেল বেশ গরম হয়ে গেলে ছাঁকা তেলে গোল গোল করে গড়ে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কলমি চিংড়ির বড়া। চা, কফির সঙ্গে স্ন্যাকস হিসেবে অথবা ডালের সঙ্গে খেতে কিন্তু দারুণ লাগবে।