ইতিমধ্যে রটে গিয়েছে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের রাধারাণী ওরফে শ্রীময়ী চট্টরাজ নাকি চুপি চুপি প্রেম করছেন তার থেকে ২৭ বছরের বড় কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে! এই ব্যাপারে কাঞ্চন মল্লিক নিজেও মুখ খুলেছেন, শ্রীময়ী কলম ধরেছেন এবং পিঙ্কি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন।
কাঞ্চন মল্লিক পরিস্কার জানিয়েছেন যে তিনি রাজনৈতিক স্বরযন্ত্রের শিকার এবং এই রটনা মিথ্যে, কৃষ্ণকলির রাধারাণীর সঙ্গে আদপে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। চলুন দেখি রাধারাণী ওরফে শ্রীময়ী চট্টরাজ কী বললেন?
রাধারাণীর দাবী,” আচ্ছা, আমাদের অভিনেত্রীদের কি বাড়ি-ঘর নেই? সংসার নেই? লোকলজ্জার ভয় নেই? নাকি, অভিনয় করি বলে সে সবের পাট চুকিয়ে দিয়েছি! ” এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী নিজেই কলম ধরে এই কথাগুলি জানান। পাশাপাশি তিনি এও জানান, “২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে প্রচুর জনসভা করেছি। প্রচারে অংশ নিয়ে। কাঞ্চনদার হয়েও প্রচার করেছি। আপনারা কী বলতে চাইছেন? যত জনের হয়ে প্রচার করেছি তত জনের সঙ্গে আমার প্রেম?”
অভিনেত্রী শ্রীময়ীর বক্তব্য অনুযায়ী তিনি পিঙ্কিদির চেতলার বাড়িতে গিয়েছেন, খেয়েছেন এবং জানেন তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। এরপরেই অভিনেত্রীর প্রশ্ন, একসঙ্গে ত্রাণ দিলে, বৃষ্টিতে ভেজা ছবি দিলে, টুম্পা সোনা নাচেলে কি প্রেম হয়ে যায়? সব শুনে মুখ খুলেছেন কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়। তার বক্তব্য, “দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রেম করতেই পারেন। কিন্তু তা অস্বীকার করলে প্রাক্তণ ও বর্তমান দুজনকেই অসম্মান করা হয়”। এমনকি পিঙ্কি এও অভিযোগ এনেছেন কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে যে তিনি শুধু ছেলের স্কুলের ফিজ দেন কিন্তু ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেনা। পিঙ্কির দাবী, “দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রেম করবেন তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু অনুরোধ, বিয়েটাকে যেন বেড়া হিসেবে ব্যবহার না করা হয়”।