কৃষক আন্দোলন নিয়ে দিলজিৎ ও প্রিয়াঙ্কাকে একহাত নিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত
২০২০ এমনই একটি অভিশপ্ত বছর যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন দুমড়ে মুচড়ে গেছে গোটা দেশ, তেমনই দেশের রাজনৈতিক মঞ্চেও এসেছে নানান ঝড়। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে কৃষি সব কিছুর মধ্যে এক বিরাট পরিবর্তন ও বিবর্তনের ঝড় বয়ে গেছে। এখনও সেই ঝড় থামেনি। ধিক ধিক করে দেশের আনাচে কানাচে আগুন জ্বলছে থেকে থেকেই। ২০২০ র শেষের দিকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে যেই অস্থিরতা তৈরি হয়, সেই সময় বলিউডের একাংশ কৃষক বিলের বিরোধিতা করেন এবং অমেকেই এই বিল সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনেই মন্তব্য করেন। যেমন হয়তো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বর্তমানে তিনি এই দেশের মাটিতে নেই। বিদেশীর ঘরণী হয়ে রয়েছেন বিদেশের মাটিতেই। কিন্তু এরপরেও তিনি মন্তব্য করেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘কৃষকরা খাদ্য-সেনা। তাঁদের সমস্যা শুনতে হবে। তাঁদের দাবি মেটাতে হবে। খুব দেরি হওয়ার আগেই এই বিষয়টির সমাধান করা উচিত। তাতেই রক্ষা হবে গণতন্ত্র’।
Our farmers are India’s Food Soldiers. Their fears need to be allayed. Their hopes need to be met. As a thriving democracy, we must ensure that this crises is resolved sooner than later. https://t.co/PDOD0AIeFv
— PRIYANKA (@priyankachopra) December 6, 2020
এরপরেই ট্রোলের মুখোমুখি হন তিনি। এক্ষেত্রে কারওর বক্তব্য, আগে দেশে আসুন। তার পর কৃষকদের নিয়ে কথা বলবেন। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘আপনার জন্য এই ভিডিয়োটা থাকল। আপনি তো নিশ্চয়ই আইনটি বিস্তারিত জানেন না’। এদিকে কঙ্গনা রানাউত গর্জে উঠলেন আরও একবার। বরাবর তিনি প্রতিবাদী চরিত্রেই ছিলেন। এর আগেও তিনি কৃষি বিল নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত খুন ও ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছিলেন। এরপরেই কঙ্গনা আবারও একটি ভিডিও বানান।
View this post on Instagram
কঙ্গনা সাফ জানান “আমার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বার বার। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও দিলজিৎ দোশাঞ্জের মতো মানুষের দিকে আঙুল তোলা হয় না কেন? আমি চাই, তাঁদের উদ্দেশ্য ও নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হোক এ বার। জয় হিন্দ!” এখানেই থেমে থাকেননি কুইন কঙ্গনা। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন জনগনের উদ্দেশ্যে, তাঁর প্রশ্ন ও দাবী, “আমি বলেছিলাম, যখন কৃষক আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য সামনে আসবে। আমি আবার এবিষয়ে মুখ খুলবো। ঠিক যেমনটা শাহিনবাগের ক্ষেত্রে হয়েছিল। গত ১০-১২ ধরে নেটদুনিয়ায় আমি যেভাবে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি, তাতে আমার অধিকার আছে আমি দেশের মানুষের কাছে কিছু প্রশ্ন করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাই কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে এই আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। সন্ত্রাসবাদীরাও এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি পঞ্জাবে পড়াশোনা করেছি। ওখানেই বড় হয়েছি। আমি জানি পঞ্জাবের মানুষ কোনওদিনই দেশকে টুকরো করতে চান না। ওনারা খালিস্তান কোনওদিনই চাননি। গোটা দেশটাই ওনাদের। ওনারা দেশকে ভালোবাসেন। সন্ত্রাসবাদীদের আমার কিছুই বলার নেই, তবে সরল কৃষকরা কেন তাঁদের অঙ্গুলি হেলনে চলছেন কেন? এতেই আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।”