সেলিব্রিটিরা দেহরক্ষী রাখেন তাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু, এখানে কঙ্গনা রানাওয়াতের নিজস্ব দেহরক্ষী ফেঁসে গেলেন আইনি জটিলতায়। একেবারে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।
কঙ্গনার দেহরক্ষীর নাম Kumar Hegde হেগড়ে (Kumar Hegde). ২০১৩ সাল নাগাদ এক মেক আপ আর্টিস্টের সঙ্গে আলাপ করেন কুমার হেগড়ে Kumar Hegde। এরপর ওই মহিলা জানান যে গতবছর জুন মাসে কুমার তাকে প্রপোজ করেন এবং তাকে বহুবার যৌন সম্পর্কের জন্য জোর করেন। যেকোনো অনুষ্ঠানে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত দেন। এমনকি গত ২৭ এপ্রিল ওই মহিলার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকাও নেন তিনি। তারপর আর ওই মহিলার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি কুমার।
ওই নির্যাতিতা কুমারের বিরুদ্ধে ডায়েরি করলে, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। গত ১৯ মে কুমারের বিরুদ্ধে ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন তিনি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ধারাতেও ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন কঙ্গনা। ফিরেছেন মায়ের কাছে হিমাচল প্রদেশে। এখনও অবশ্য বলিউড কুইন কঙ্গনা এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে কঙ্গনার অনুরাগীরা চাইছেন কঙ্গনা এই ব্যাপারে মুখ খুলুক। সাধারণত প্রায় সমস্ত ব্যাপার নিয়ে কঙ্গনা তার নিজস্ব মতামত রাখেন। তাই অনুরাগীরা মুখিয়ে আছে এই ব্যাপারটি কঙ্গনা কিভাবে ম্যানেজ করেন।