করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor khan)-কে বহুবার চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গেলেও দু-একটি ফিল্ম ছাড়া তাঁকে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। ‘কুরবান’ ফিল্মের পোস্টারে তাঁর নগ্ন পিঠ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি করিনার কাছে এসেছিল হুমকি ভরা মেসেজ। কিন্তু তারপরেও ‘হিরোইন’ ফিল্মে তিনি অত্যন্ত বোল্ড একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু ‘কুরবান’-এর তুলনায় এই দৃশ্যটি তত বোল্ড নয়। তবু করিনা ওই দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য প্রথমে রাজি ছিলেন না।
এর মূল কারণ হল করিনা ও সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)-এর বিয়ে। ‘হিরোইন’-এর শুটিংয়ের আগে সইফ ও করিনার বাগদান হয়ে গিয়েছিল। ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ের দিন-ক্ষণ। কিন্তু ‘হিরোইন’-এর প্রস্তাব প্রথমে এসেছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)-এর কাছে। ঐশ্বর্য এই ফিল্মের বেশ কিছুটা অংশ শুট করার পর জানা যায়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। ফলে ঐশ্বর্য ফিল্ম থেকে সরে যান। সেই স্থানে এই ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে করিনার কাছে। চিত্রনাট্য করিনার অত্যন্ত পছন্দের হলেও ফিল্মের ন্যুড দৃশ্যের কথা শুনে প্রথমে একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
View this post on Instagram
কারণ এই ধরনের দৃশ্য চিত্রনাট্য অনুযায়ী সাহসী হওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা কঠিন। তবে করিনা নিজের অভিনয় ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘হিরোইন’-এ অভিনয় করতে রাজি হন। শুটিংয়ের সময় সম্পূর্ন নগ্ন হয়ে একটি সাদা চাদর ঢাকা দিয়ে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন করিনা। পরবর্তীকালে এই ফিল্মের প্রোমোশনের কারণে ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই দৃশ্যের এমএমএস ভাইরাল করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, ‘হিরোইন’-এ নায়িকার জীবনেও একই ধরনের এমএমএস ভাইরাল হওয়ার ঘটনা দেখানো হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে এই এমএমএস ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচিত হয়েছিলেন করিনা। তবে এত প্রয়াস সত্ত্বেও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ‘হিরোইন’। 2012 সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পায় ‘হিরোইন’। একই বছর অক্টোবর মাসে সইফের সাথে সাতপাকে বাঁধা পড়েন করিনা।
View this post on Instagram