Finance News

অবসর জীবনে থাকবে না অর্থের অভাব, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে লাভই লাভ

মানুষ বর্তমানে বাঁচলেও ভবিষ্যতের চিন্তা রয়েছে সকলেরই। চাকরিজীবীদের একটা সময়ের পর স্থায়ী রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। তখন অনেকের পেনশনের (Pension) ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশেরই নির্দিষ্ট কোনো রোজগার থাকে না। তাই সময় থাকতেই ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয়ে মন দেয় অনেকেই। বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ (Appropriation) করে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন অধিকাংশ মানুষ। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকার জন্য অনেক সময় পিছিয়েও যায় মানুষ। কিন্তু এমন কিছু স্কিম রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকিও নেই, আবার মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়াও সম্ভব।

পোস্ট অফিসের (Post Office) সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম (Senior Citizen Saving Scheme) এ ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয়। এই স্কিমের এত গুরুত্ব পাওয়ার কারণ হল, এখানে সুদের হার বেশি। পাশাপাশি পোস্ট অফিসের স্কিমে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে কোনো অর্থ সংক্রান্ত ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে না। ৮.২ হারে সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থনও রয়েছে পোস্ট অফিসের এই স্কিমে। তাই অনেকেই নিশ্চিন্তে পোস্ট অফিস এর এই স্কিমে বিনিয়োগ করে। কীভাবে বিনিয়োগ করতে হবে এই স্কিমে? এই প্রতিবেদনে রইল যাবতীয় তথ্য।

সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিমে বিনিয়োগ করতে হলে প্রথমে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট থাকা বাঞ্ছনীয়। এর জন্য নিকটবর্তী পোস্ট অফিসছ গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হওয়া দরকার। উল্লেখ্য ৫ বছরে এই স্কিমটি ম্যাচিওর করে। তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর আরো তিন বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।

আরো বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে। এর মাধ্যমে আয়করের ৮০সি ধারা অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ টাকা কর ছাড় পাওয়া যায়। পোস্ট অফিসের এই সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিমে সবথেকে কম ১ হাজার টাকা আর সর্বাধিক ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা সম্ভব।

Related Articles