Hoop Story

Kolkata Puja: পুরো মণ্ডপ জুড়ে শুধুই লোভনীয় ফুচকা, বেহালার এই প্যান্ডেল দেখে মুগ্ধ সকলে

দুর্গাপূজার সময় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ফুচকা খাবে না এমন বাঙালি কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায় না, তবে আজকে এমন একটা ফুচকার থেকে আপনাদের নিয়ে যাব যেখানে গেলে শুধু ফুচকা দেখতেই হবে, কিছুতেই খেতে পারবেন না। কিন্তু ভাবছেন এমন কোন জায়গা যেখানে গেলে শুধু ফুচকা দেখা যাবে? খাওয়া যাবে না, এমন আবার জায়গা হয় নাকি।

না না একদমই মজা করছি না, বেহালা নতুন দলের এবারের সাজ হলো ফুচকার প্যান্ডেল। থিম তুষ্টি। তবে ফুচকা দেখেই আপনাকে মন ভরাতে হবে। হাজার হাজার ফুচকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। এতগুলো ফুচকা একসঙ্গে দেখলে বাঙালির মনে তো একটু ফুচকা খাব খাব মনে হবেই, জিভেও কিন্তু জল চলে আসবে। কিন্তু কিছুতেই খেতে পারবেন না যতই জল আসুক না কেনো।

বেহালা নতুন দলের এই পুরো কাজটি করেছেন শিল্পী অয়ন সাহা। তবে তাকে সাহায্য করেছেন দুজন ওলন্দাজ শিল্পী। বাঙালি নামের সঙ্গে ফুচকা নামের কিন্তু একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে আর গোটা প্যান্ডেলটাই যদি এমন ফুচকা দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই, একবার হলেও দেখতে যেতে হবে। গত দেড় মাস ধরে শিল্পীরা একেবারে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন এই প্যান্ডেল।

অসাধারণ এই পূজা মন্ডপ বড় বাজার থেকে অনেক ফুচকা নিয়ে আসা হয়েছে। তারপরে সেগুলো ক্লাব ঘরে এক ডজন প্রায় রাধুনীকে দিয়ে ভাজানো হয়েছে, তারপরে তার ওপরে এক কৃত্রিম রাসায়নিকের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে ফুচকাগুলি অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা থাকে, তারপরে তা দিয়ে বানানো হয়েছে প্যান্ডেল। প্যান্ডেলে প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজারেরও বেশি ফুচকা ব্যবহার করা হয়েছে।

প্যান্ডেলের ভেতরে যখন ঢুকবেন তখন ফুচকার কাছে কাছে গিয়ে একটু দেখতে পাবেন একেবারে সত্যিকারের ফুচকা। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন এই ফুচকাগুলি হয়তো কৃত্রিম ভাবে বানানো কিন্তু একেবারেই নয়। তবে শুধুমাত্র ফুচকা নয়, প্যান্ডেল এর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, কাঠ, টিন আরো অনেক কিছু। তার সঙ্গে মানান সই হয়েছে প্রতিমা। প্রতিমাকেও কিন্তু একটা বড় গোল ফুচকার মধ্যে রাখা হয়েছে, সেখানেও আছে নতুনত্ব।

এতকিছু শোনার পর নিশ্চয়ই একবার দেখে আসতে ইচ্ছা করছে, বিশেষ করে যারা বেহালার কাছে পিঠে থাকেন অথবা কলকাতায় থাকেন কিংবা যারা মফস্বল থেকে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তারা কিন্তু তাদের প্ল্যানের তালিকা অবশ্যই বেহালা নতুন দলকে রাখবেন।

কিন্তু কিভাবে যাবেন? এবার দেখে নিন বেহালায় 14 নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে অল্প এগিয়ে জেমস লং সরনীর আগে ডানদিকের গলির ভেতরে হচ্ছে এই পুজো, তাই বেহালা যদি অন্যান্য ঠাকুর দেখার পাশাপাশি একবার ঢুঁ মেরেই আসতে পারেন, এই ফুচকার প্যান্ডেলে।

কিন্তু তারপরে অবশ্যই বেরিয়ে একটু ফুচকা খেয়ে নেবেন। কারণ এতক্ষণ ধরে ফুচকার প্যান্ডেলে থাকার পর নিশ্চয়ই নিজেকে আর সামলাতে পারছেন না, তাই এখান থেকে বেরিয়ে ফুচকা খাওয়া কিন্তু মাস্ট।

Related Articles