whatsapp channel

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও হয়নি চাকরি, চা বিক্রি করেই জীবিকা অর্জন মেধাবী যুবকের

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরি হয়নি। সংসারের অনটন দিন দিন বাড়ছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল ব্যাংকের ঋণের বোঝা। কিছুদিন পর একমাত্র রোজগেরে বাবা আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোজগারের সমস্ত…

Avatar

HoopHaap Digital Media

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরি হয়নি। সংসারের অনটন দিন দিন বাড়ছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল ব্যাংকের ঋণের বোঝা। কিছুদিন পর একমাত্র রোজগেরে বাবা আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোজগারের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিভাবে রোজগার করবেন ভেবে না পেয়ে ফুটপাতে চা বিক্রি করলেন এক যুবক।

২০১৩ সালে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সঞ্জু কুন্ডু মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্টার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকেও তিনি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০১৫ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে তিনিই সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে ভর্তি হন জলপাইগুড়ির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। পড়াশোনা চালানোর জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। ঋণ শোধ করা হয়নি, ইতিমধ্যে তার বোনের বিয়ে ঠিক করা হয়। ঋণ না দিতে পেরে ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে দু লক্ষ টাকায়।

চারিদিকে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েও শেষ পর্যন্ত চাকরি মেলেনি তার। কিন্তু একদিকে বাবা অসুস্থ তার জন্য লাগবে টাকা। আর এককালীন ৮ হাজার টাকা জমা দেওয়ার পরে ২,৩০০ টাকা প্রতি মাসে মাসে দিতে হবে এমনটাই ঠিক হয়েছে। কিন্তু একদিকে বাবার ওষুধের টাকা অন্যদিকে মাসে মাসে এতগুলো টাকা, কোথা থেকে জোগাড় করবেন তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। তাই সবদিক ভেবে চিন্তে তিনি ফুটপাতে চায়ের দোকান খুলে বসেন। বিধায়ক সৈকত পাঁজা বলেছেন, তারা সমস্ত রকম দিক থেকে সাহায্য করতে রাজি আছেন এই যুবকটিকে।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media