Koneenica-Leena: কণীনিকার সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই বজায় রাখলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়!
যখন আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকটি শুরু হয় তখন একটি মধ্যবয়স্কা নারীর কলেজে ভর্তির মাধ্যমে ইচ্ছেপূরণের গল্প ছিল এটি। নানা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গৃহবধূর গ্র্যাজুয়েট হয়ে ওঠার কাহিনী ছিল এই ধারাবাহিকের মূল লক্ষ্য। তবে বর্তমানে ধারাবাহিকটির মূল লক্ষ্য ব্রাত্য হয়ে গেছে। গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে এখন পরকীয়া, কুটকাচালি। যে প্রসঙ্গে নারী দিবসের দিন সোচ্চার হয়েছিলেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আয় তবে সহচরী যখন শুরু হয় তখন তার মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধুত্বযাপনের গল্প ছিল। শিক্ষার যে কোনও বয়স হয় না এই বার্তার ওপরেই জোর দিতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু যখন সুন্দর জিনিস দেখানো হত তখন এই ধারাবাহিকের টিআরপি থাকত তলানিতে। কিন্তু গল্পে দেবিনার আগমনের সাথেই ধারাবাহিকটির টিআরপি রাতারাতি বাড়তে শুরু করে দেয়। পরকীয়ার মাধ্যমে টিআরপিতে পাকাপাকিভাবে সেরা পাঁচে জায়গা করে নেয় আয় তবে সহচরী।
দর্শকদের এরকম দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ দর্শক কেন এই নোংরামিগুলি দেখে টিআরপি বাড়াতে সাহায্য করে? দর্শক যদি এই নোংরামি দেখা বন্ধ করে দেয় তাহলে দ্বিতীয় দিন থেকে সিরিয়াল আর নোংরামি দেখাবে না এমনটাই মনে করেন তিনি। কিন্তু যখনই সিরিয়ালে ভালো জিনিস দেখানো হয়েছে তখনই টিআরপি পড়ে গিয়েছে। দিনশেষে চ্যানেলকেও ব্যবসা করতে হয়। টিআরপির মাধ্যমেই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আসে। তাই এক্ষেত্রে চ্যানেল বা নির্মাতাদের কোনও দোষ থাকে না এমনটাই বলেছিলেন অভিনেত্রী।
এই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মুখ খোলেন। শ্রীময়ী,মোহর,খড়কুটো ইত্যাদি ধারাবাহিকে বারবার গল্পের ট্র্যাক পরিবর্তনের জন্য তাঁকে চাপ দিতেন দর্শকেরা। কিন্তু লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কোনদিনও দর্শকদের কথায় কর্ণপাত করার প্রয়োজন বোধ করেননি। তিনি বরাবরই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী লিখে এসেছেন। কনীনিকার মন্তব্য প্রসঙ্গে উল্টো সুর গেয়ে তিনি বলেন, “আমার ধারাবাহিকে এই রকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। মূল অভিনেত্রী ছাড়াও আমি অন্যান্য পার্শ্ব অভিনেতা অভিনেত্রীদের চরিত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি। গল্প লেখার ক্ষেত্রে চ্যানেল আমায় সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছিল। আমার গল্পে অনেক সময় পার্শ্ব অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাবট্র্যাকও দর্শকদের মনে দারুন সাড়া ফেলেছে। দর্শকের ভালো লাগছে না অথবা টিআরপি কম বলে ধারাবাহিকের কাহিনী পাল্টে ফেলি এরকমটা আমি কখনই করি না।”
কণীনিকার তোলা অভিযোগের বিপরীত কথা বলতে দেখা যায় লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। এর কারণ অতীতের তিক্ততা নয় তো? ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকের আগে কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অন্দরমহল’ সিরিয়ালে কাজ করেছিলেন। সেই সিরিয়ালটির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় পারিশ্রমিক নিয়ে বচসা বাঁধতে দেখা গিয়েছিল প্রযোজনা সংস্থা এবং অভিনেত্রীর মধ্যে। তার জেরেই কি লীনা গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রীর উল্টো সুরে এই মন্তব্য করলেন? প্রশ্ন তো থেকেই যায়।