টলিউডের বিরুদ্ধে একাধিক বার নায়িকারা বিস্ফোরক হয়েছেন। বহু অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পান না। এঁদের মধ্যে অন্যতম কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল স্টার জলসার একদা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’-তে অভিনয় করতে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে চেন্নাই গিয়েছিলেন কণীনিকা। অস্ত্রোপচারের পর কন্ঠস্বরের সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর। ফলে একরকম বাধ্য হয়েই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে ‘আয় তবে সহচরী’ অফ এয়ার করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এরপর সুস্থ হয়ে ‘প্রজাপতি’ ফিল্মে দেব (Dev)-এর দিদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কণীনিকা। তবে ওইটুকুই। এরপর তাঁকে আর অভিনয়ে দেখা যাচ্ছে না। এবার এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন অভিনেত্রী।
অন্য অভিনেত্রীদের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন কণীনিকাও। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে কণীনিকা জানান, বাংলা ধারাবাহিকে অন্তত মেয়েদের জন্য একটা স্থান রয়েছে। কিন্তু টলিউডের ফিল্মে মহিলাদের অবস্থান টালমাটাল। যেসব অভিনেত্রীরা বাইরে থেকে প্রযোজক ধরে আনতে পারেন, তাঁরাই ফিল্মে নায়িকার চরিত্রে সুযোগ পান। কিন্তু যাঁরা প্রযোজক ধরে আনতে পারেন না,তাঁরা ভালো অভিনেত্রী হলেও দিনের পর দিন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে হয় তাঁদের। কণীনিকার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম দেখে বোঝা যায়, বলিউডে নারীকেন্দ্রিক কাজ যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে। বয়স কোনো ব্যাপার নয়। কণীনিকার মতে, মা দুর্গাকে বয়স দেখে পুজো করা হয় না। মা-বাবার বয়স হয়ে গেলে তাঁরা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যান না। অপরদিকে অনেকেই মনে করেন, একটি বিবাহিত মেয়ে বা সন্তানের মা অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্য নন।
কণীনিকা মনে করেন, এই মানসিকতা বদলানোর প্রয়োজন রয়েছে। বাংলা বা হিন্দি সিনেমায় মেয়েদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাঁদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করলে একটি বাজার তৈরি হতে পারে বলে মত প্রকাশ করলেন কণীনিকা। তবে প্রকৃতপক্ষে, বলিউডে মানসিকতা অনেকটাই বদলেছে। সেখানে বিবাহিতা নায়িকা বা নায়িকার সন্তানের জন্ম কোনো ব্যাপার নয়। সন্তানের জন্মের পর বহু নায়িকাই কাজে ফিরেছেন। বলিউডে রীতিমত নারীকেন্দ্রিক ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। কিন্তু টলিউড তিমিরেই রয়েছে।
View this post on Instagram