জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৌরী এল’ ঘিরে বর্তমানে সমালোচনা তুঙ্গে। কখনও গৌরীর যোগিনী মেকআপ ঘিরে চলছে চূড়ান্ত ট্রোল। যোগিনী গৌরীকে তুলনা করা হচ্ছে মঞ্জুলিকার সাথে। কখনও বা গৌরীর লকেটে গুলি লেগে তা ছিটকে আবারও ফিরে গিয়ে কাবু করছে শার্প শ্যুটারকে। সব মিলিয়ে মারাত্মক ট্রোলের সম্মুখীন হলেও ‘গৌরী এল’-র টিআরপি যথেষ্ট ভালো। এতদিন গৌরীকে বিধবা দেখানো হলেও এবার ধারাবাহিকে মিলন হতে চলেছে গৌরীর সাথে ঈশানের। ঈশানের মৃত্যুর পর গৌরীকে মাছ খেতে দেখে তার পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গৌরীর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, তার স্বামী ঈশান বেঁচে রয়েছে।
অপরদিকে তান্ত্রিক ঘোষাল পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তাকে গৌরী রূদ্রমূর্তি ধারণ করলেও তাড়িয়ে দিলেও মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ওই তান্ত্রিকের মৃত্যু ঘটে। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে ঈশানকে অনুভব করে গৌরী। পরদিন মৃত্যুঞ্জয়ের আশ্রমে পৌঁছে গৌরী দেখে, সে ধ্যানমগ্ন। আশ্রমের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা গৌরীকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিতে না চাইলেও জোর করে ভিতরে ঢোকে সে। আশ্রমে প্রবেশ করে গৌরী দেখে, সামনে বসে রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়রূপী ঈশান। গৌরী ঈশানের কাছে জানতে চায়, কেন সে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল!
ঈশান বলে, সে ব্রহ্মচারী। তার কোনো স্ত্রী ছিল না। গৌরী ভুল করে অন্য কারও সাথে তাকে গুলিয়ে ফেলছে। এমনকি গৌরীকে সে মা বলে সম্বোধন করে। গৌরী ভাবে, উঁচু থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে ঈশান। তৎক্ষণাৎ সন্তানসম্ভবা গৌরী তার পেটে ঈশানের হাত ঠেকায় ও সত্য বলতে বলে। কিন্তু ঈশান বারবার নিজেকে মৃত্যুঞ্জয় বলে দাবি করতে থাকে।
গৌরী এরপর ফিরে গেলে ঈশান আশ্রমের কর্মচারীদের নির্দেশ দেয়, গৌরী যেন আর কখনও আশ্রমে প্রবেশ করতে না পারে। আদৌ কি কখনও এক হতে পারবে গৌরী ও ঈশান? উত্তর পেতে হলে চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।
